
রাজধানীর টিকাটুলিতে অবস্থিত শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সদ্য সাবেক সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতি, যৌন হয়রানিসহ কোনও অভিযোগের প্রমাণ না পেয়ে তাকে নির্দোষ বলে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। একইসঙ্গে সরকারি তদন্ত কাজে বাধা প্রদান করায় প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র শিক্ষক হামিদা খাতুন, খণ্ডকালীন সিনিয়র শিক্ষক আকলিমা আক্তার ও সৈয়দা মেহনাজ নাইয়ারা, সহকারী শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা, সিনিয়র শিক্ষক রেখা মন্ডল দীনা ও শরীর চর্চা শিক্ষক মো. সবুজ মিয়ার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে সুপারিশ করেছে কমিটি।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড গঠিত তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার, সদস্য সচিব ও বোর্ডের উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (গোপনীয়) জাকির হোসেন এবং উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (সনদ) হেলাল উদ্দিনের যৌথ স্বাক্ষরে এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার বিবার্তাকে বলেন, আমরা আমাদের প্রতিবেদন চেয়ারম্যান স্যারের কাছে জমা দিয়েছি। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়নি।
রিপোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, গভর্নিং বডির সদ্য সাবেক সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির কোনও প্রমাণ কমিটির কাছে উপস্থাপিত হয়নি। এছাড়া কলেজের ফান্ড লুটপাটেরও কোন সত্যতা মিলেনি। তার সময়ে কলেজের ফান্ড বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি গভর্নিং বডির সদ্য সাবেক সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিনকে সম্পূর্ণভাবে সামাজিক, রাজনৈতিক, মানসিক ও পারিবারিকভাবে হেয় করার লক্ষ্যে স্বার্থান্বেষী কতিপয় শিক্ষক ও কুচক্রী মহলের চক্রান্তের বহিঃপ্রকাশ বলে তদন্ত দলের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রাজধানীর টিকাটুলির শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয় গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কলেজের ফান্ড তছরুপ করেছেন বলে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দেয় কলেজের কিছু শিক্ষক। তিনি শিক্ষকদের যৌন হয়রানি করেছেন বলেও অভিযোগ দেন তারা। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে রিয়াজ গভর্নিং বডির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নেন। পরে বিষয়টি নিয়ে কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে রিয়াজকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়। তবে রিয়াজ বরাবরই এসব অস্বীকার করে আসছিলেন। অবশেষে তদন্ত রিপোর্টেও তাকে নির্দোষ বলা হলো।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মো. রিয়াজ উদ্দিন বিবার্তাকে বলেন, আমি মৌখিকভাবে শুনেছি তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। আর সেখানে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছিল, সেগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট ছিল। যা তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। যেখানে নগদ লেনদেন হতো সেখানে আমি রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে স্বচ্ছতার সাথে লেনদেন চালু করেছি। এফডিআরসহ সব ব্যাংকিং হিসাব-নিকাশ ঠিক আছে। আমি সবকিছুতে স্বচ্ছ ছিলাম। এজন্য তদন্ত কমিটি কোন অনিয়ম পায়নি।
বিবার্তা/রাসেল/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]