
চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে প্রায় দুই মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা। এছাড়া ১৬ দফা দাবিতে ২ সেপ্টেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।
২৪ সেপ্টেম্বর, রবিবার অবশেষে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এর আগে ভর্তি পরীক্ষায় পাশ না করলেও পোষ্য কোটাধারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দাবিতে গত ২৬ জুন থেকে আন্দোলন শুরু করেন কর্মকর্তারা। এ দাবিতে কয়েকদিন কর্মবিরতি পালন করেন তারা। পরে ২৮ আগস্ট উপাচার্যের কাছে পোষ্য কোটার শর্ত শিথিল এবং চাকরির সময়সীমা বৃদ্ধিসহ ১৬ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। পরে ২ সেপ্টেম্বর থেকে এ দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মকর্তারা।
আন্দোলনের মধ্যে কর্মকর্তাদের একাংশের সাথে আন্দোলনের প্রক্রিয়া নিয়ে বিভক্তি দেখা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে। পরে দুই পক্ষের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম বলেন, ‘আমাদের ন্যায়সংগত দাবির কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ আমাদের সাথে আলোচনায় বসেন। আলোচনা সভায় তারা আমাদের দাবির সাথে একমত পোষণ করেন। আজকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বসেছিলাম। আমাদের দাবির কথা শুনে উপাচার্য স্যার আমাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর একটি অর্ডার দিয়েছেন। তিনি আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছে তাই আমরা সকলের সম্মতিক্রমে আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেছি।’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আমরা ন্যায্য দাবি থেকে কাউকে বঞ্চিত করবো না। কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সভায় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরাও ছিলেন আমরা সম্মিলিতভাবে সমাধানের চেষ্টা করবো। তাদের দাবি যৌক্তিক হলে তা মেনে নিতে প্রশাসনের কোন কার্পণ্য থাকবে না।’
বিবার্তা/জায়িম/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]