ভাইভা বোর্ডে হিজাব ও নিকাব নিয়ে অধ্যাপক ড. এম ওহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার হয়েছে এমনটা দাবি করে নিন্দা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষকবৃন্দ।
৩১ আগস্ট,বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা এই নিন্দা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইআর) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম. ওয়াহিদুজ্জামান চাঁন কতৃক হিজাবধারী মেয়েদেরকে হেনস্তা ও ভাইভায় অংশগ্রহণের অনুমতি না দেওয়ার বিতর্কের জেরে গত ৩০ অগাস্ট দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।
কলা ভবনের অপরাজেয় বাংলা, শ্যাডোকে প্রদক্ষিণ করে,ব্যবসায় অনুষদ ও রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সামনে দিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এসে পৌছায়।
শিক্ষার্থীদের এহেন কর্মকাণ্ডের প্রতি নিন্দাবাদ জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষকবৃন্দ।
তারা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, অত্র ইনস্টিটিউটের ৩য় বর্ষের (২৬ তম ব্যাচের) মৌখিক পরীক্ষা ৩১ জুলাই ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত তারিখে একটি বোর্ডে আমরা তিনজন সহকর্মী পনেরোজন শিক্ষার্থীর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করি। আইইআর-এর ২৬ তম ব্যাচ থেকে মৌখিক পরীক্ষায় নম্বর প্রদান করা হয় (দুই ক্রডিট)। ২৫তম ব্যাচ পর্যন্ত সন্তোষজনক বা সন্তোষজনক নয় হিসেবে ফলাফল দেওয়া হতো। বিশ্ববিদ্যালয় ও আইইআরের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। পরীক্ষায় যে কোনো শিক্ষার্থীকে শনাক্তকরণ শিক্ষকদের পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্য। উপরন্তু শিক্ষার্থীদের ৩য় বর্ষের মাইক্রোটিচিং সিমুলেশন কোর্স সম্পন্ন করতে হয়। শিক্ষার্থীরা ৩য় বর্ষের মৌখিক পরীক্ষা শেষে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের পাঠদান (প্র্যাকটিস্ টিচিং (ইন্টার্নশিপ) করবে। সে কারণে তাদের পাঠদানের যোগ্যতা ও যোগাযোগ দক্ষতা পর্যবেক্ষণ জরুরি। ফলে তাদের মুখমণ্ডল অনাবৃত করতে বলা হয়। সুতরাং বিষয়টি সম্পূর্ণ একাডেমিক ও পেশাগত দায়িত্ব পালনের জায়গা থেকে নিয়ম অনুযায়ী করা হয়েছে।
তারা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিম্নোক্ত চারটি বিষয় ঘটেছে বলে দাবি করেন-
১. পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হওয়ার একমাস পর বিষয়টি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে
২. সকলের সাথে উক্ত শিক্ষার্থীর ওই দিন মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ছাত্রীর ভাইভা নেওয়া হয়নি বলে যা প্রচার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।
৩.কোনো শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করা হয়নি। উক্ত ছাত্রী সম্পূর্ণ আচ্ছাদিত থাকায় সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষাটি নেওয়ার জন্য মুখের কাপড়টি সরাতে বলা হয়েছিল। বুঝিয়ে বলার পরে সে সেটি করেছিল।
৪.উক্ত ভাইভা বোর্ডে পোশাক পরিচ্ছদ ও পর্দা নিয়ে কোনো ধরনের কথা হয় না।
বিবার্তা/ছাব্বির/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]