ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় বিভাগের স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণকারী সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু মূসা মো. আরিফ বিল্লাহ কর্তৃক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু অনলাইন পোর্টালে বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারের নানা বিষয়ে লাগাতার কুৎসা, বিষোদগার, অপপ্রচার ও মানহানিকর অপপ্রয়াসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৫ মে) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সিনিয়র এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলীল স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল ১৪ মে ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষকেরা এ বিষয়ে তাঁদের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, ড. আবু মূসা মো. আরিফ বিল্লাহ বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কারণে নয় বরং সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। অথচ তিনি ধারাবাহিকভাবে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্যের অপপ্রচার করে যাচ্ছেন; এতে বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন ও ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘদিন শিক্ষাছুটিতে থাকা, ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হওয়া এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক গবেষণা ও প্রকাশনা না থাকায় তাঁর পদোন্নতি বিলম্বিত হয়; এখানে বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো দায় বা প্রতিবন্ধকতা ছিলো না। এক পর্যায়ে পারিবারিক প্রয়োজনে বিরাট অঙ্কের অর্থের সংস্থানের জন্য তিনি অনন্যোপায় হয়ে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণে বাধ্য হন; অথচ এরপর থেকেই ক্রমাগত তিনি বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছেন।
এতে আরো বলা হয়, ড. আবু মূসা মো. আরিফ বিল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ও শিক্ষক লাউঞ্জে বিভিন্ন সময়ে নিজে ও নিজের মেহমানসহ খেয়ে অন্য শিক্ষকের নামে বিল করে যান বলে শিক্ষকেরা প্রমাণসহ অভিযোগ করেন। এমনকি অনেক শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে ফেরত দেননি বলেও তাঁদের কাছে প্রমাণ রয়েছে বলে তথ্য দেন। তাঁর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট একাধিক শিক্ষকের সাথে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনার কথাও তাঁরা উল্লেখ করেন। তাঁর আর্থিক ও যৌন নিপীড়নের একাধিক ঘটনা সম্বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার অবগত এবং গণমাধ্যমেও এসব বিষয়ে নানা সময়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তিনি মঙ্গল শোভাযাত্রা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিভাগের নানা বিষয় এবং সরকারের বিরুদ্ধেও ক্রমাগত উস্কানিমূলক অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন; প্রমাণসহ বিভাগীয় শিক্ষকেরা এসব বিষয় সভায় তুলে ধরেন এবং এসবের প্রতিকারে আইসিটি আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করারও প্রস্তাব দেন।
সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে এতে বলা হয়, পরিশেষে সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, মাননীয় উপাচার্যকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পত্র প্রেরণের মাধ্যমে অনুরোধ করা; বিভাগের সাথে তাঁর সমস্ত যোগাযোগ ও সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নানা বিষয়ে তাঁর পূর্বাপর প্রকৃত অবস্থা জনসমক্ষে তুলে ধরা।
বিবার্তা/রাসেল/এনএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]