বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে র‍্যাংকিংয়ে ভালো জায়গায় দেখতে চান শিক্ষামন্ত্রী
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৩, ২০:২৯
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে র‍্যাংকিংয়ে ভালো জায়গায় দেখতে চান শিক্ষামন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে র‍্যাংকিংয়ে ভালো জায়গায় দেখতে চান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি অভিজ্ঞতা ও উন্নত গবেষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বমান অর্জন করে বিশ্ব দরবারে অবস্থান করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।


শনিবার, ১৩ মে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।


বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শৌভিক ভট্রাচার্য্য, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো জাহিদ আহসান রাসেল, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ।


র‍্যাংকিংয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক পিছিয়ে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এটি সত্য যে আমরা র‍্যাংকিংয়ে অনেক পিছিয়ে আছি। এটিও সত্য র‍্যাংকিংয়ে উপরে থাকার জন্য যে বিষয়গুলোয় মনোযোগ দিতে হয় আমরা সে বিষয়গুলোর দিকে আমরা মনোযোগী ছিলাম না।


দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের দক্ষ গবেষক নেই, শিক্ষায় অনেক ঘাটতি আছে তেমন কিন্তু নয়। আমাদের অত্যন্ত দক্ষ গবেষক রয়েছেন, গুণগতমানের শিক্ষক রয়েছেন। আসলে আমরা যে যে বিষয়গুলোর উপর র‍্যাংকিং নির্ভর করে, সে সব ক্ষেত্রে মনোযোগী ছিলাম না। এখন বিশ্ববিদ্যালগুলো কিছুটা মনোযোগী হচ্ছে। এখন না হোক অদূর ভবিষ্যতে আমাদের সবগুলো না হোক কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিংয়ে ভালো জায়গায় উঠে আসবে। ’


শিক্ষক ও বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি জমির পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। রাসায়নিক সারের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে কৃষি জমির উৎপাদনশীলতা ও উর্বরতা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাচ্ছে। জীববৈচিত্র্য হ্রাস ও পরিবেশ দূষণের ফলে ফসল উৎপাদন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। খরা, বন্যা, লবণাক্ততা, আর্সেনিক বিষাক্ততা ও দুর্যোগজনিত নানামুখী কারণে জমির উৎপাদন ক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কৃষি গবেষণাকে অগ্রগতি দিয়ে খাদ্য উৎপাদনে আধুনিক ও উন্নত লাগসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সেগুলোর যথাযথ সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে সরাসরি প্রয়োগের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।


শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বৈরী পরিবেশ উপযোগী ফসলের জাত ও আধুনিক যুগোপযোগী চাষাবাদ পদ্ধতি উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে নিরাপদ ফল ও সবজি উৎপাদনে বায়োটেকনোলজি প্রযুক্তি প্রয়োগ এবং কীটনাশকের বিকল্প উপায় উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। বায়োফর্টিফিকেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানসমৃদ্ধ ফসল উৎপাদন এবং উদ্ভিদ রোগ প্রতিরোধী জাত উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সর্বোপরি খাদ্যে দীর্ঘমেয়াদী স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, কৃষি বিজ্ঞানী ও গবেষকরা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক অনুদান ও সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবেন বলেই আমার বিশ্বাস।


বিবার্তা/রাসেল/এনএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com