ঐতিহ্যবাহী সা’দত কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩, ১৯:৪১
ঐতিহ্যবাহী সা’দত কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বঙ্গের আলীগড় খ্যাত টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী সরকারি সা’দত কলেজে দিনব্যাপী নানা আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছেন জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। সোমবার সকাল ১০টা থেকে কলেজের অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান এবং কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা-২০২৩ শীর্ষক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।


স্বাধীনতার মাসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির মুক্তির ঠিকানা নিশ্চিত করার জন্য আত্মত্যাগ মেনে নিয়েছিলেন। জাতির পিতার আহবানে সাড়া দিয়ে ৩০ লক্ষ মানুষ লাফিয়ে লাফিয়ে জীবন দিয়েছেন। ২ লক্ষ মা-বোন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সৃষ্টি হওয়ার পর আমরা পতাকা পেলাম, মানচিত্র পেলাম। জাতীয় সংগীত পেলাম— আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।’


দেশের প্রথিতযশা সমাজবিজ্ঞানী ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘আমি এসব কথা একারণে বললাম আজকের প্রজন্ম সেই প্রজন্ম- যাদের অতীত ইতিহাস যেমন জানতে হবে, তেমনি স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অবশ্যই জানতে হবে। এটি আমরা পাঠ্যবইয়ে বাধ্যতামূলক করেছি। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে আমরা আইসিটি এবং সফ্ট স্কিল অবশ্যপাঠ্য করেছি। এগুলো শেখার মাধ্যমে আমার শিক্ষার্থীরা আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ হয়ে উঠবে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজেদের তৈরি করতে পারবে।’


শিক্ষার্থীদের মনোবল না হারানোর আহবানে জানিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘তোমাদের হাতে অপার সম্ভাবনা। তুমি জন্মেছ এই বাংলায়। এখানকার যে শুদ্ধ সংস্কৃতি সেটিক জান, চেন, বোঝ। কী নেই এখানটায়! যা নেই তা হচ্ছে তোমার মধ্যে মাঝে মাঝে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলা। মনে করছ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছ। এ সবই ভুল ধারণা। তোমার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে তোমার ভাই, বোন, বন্ধু। তুমি তাদের দেখছ। আর তুমি যাদের দেখছ না তারা হচ্ছে তোমার অন্য দেশের বন্ধুরা। তারা তোমার বয়সের তরুণ। তোমার প্রতিযোগিতা বিশ্বব্যাপী।


কেননা সারা বিশ্ব একটি গ্রাম হয়ে উঠেছে। তোমাদের সেই গ্রামে প্রতিযোগিতায় টিকতে হবে। সেজন্যই আধুনিক সকল কিছুকে তোমার আত্মস্থ করতে হবে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলি- অনেকে মনে করেন এই শব্দ যুগল একটি রাজনৈতিক স্লোগান। প্রকৃত অর্থে তা নয়। স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে তুমি আজকে যে ডিসিপ্লিনে পড়ছ তার বাইরে তোমাকে সফ্ট স্কিল, আইসিটি, অন্ট্রাপ্রেনারশিপ জানতে হবে। জানতে হবে কী করে আগামীর পৃথিবী সুন্দর করে সাজানো যায়। কারণ তোমরাই আগামী বিশ্ব গড়ার কারিগর।’


কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুব্রত নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সরকারি সা’দত কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রফেসর শায়লা ইয়াছমিন। অনুষ্ঠানে শেষে উপাচার্য অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এরপর বিকালে কলেজের শিক্ষক পরিষদ মিলনায়তনে শিক্ষকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। এসময় উপাচার্য শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার কথা শুনেন এবং তাৎক্ষণিক সমাধান করেন।


বিবার্তা/আতাউর/এমএ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com