বাঙালির মহান নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ বলেছেন, এই দিবসে আমাদের প্রত্যাশা এ প্রজন্মের সকল শিশু-কিশোর বঙ্গবন্ধুর জীবন সংগ্রাম সম্পর্কে জানুক এবং তাঁর জীবন দর্শন ও আদর্শে অনুপ্রাণিত হোক।

১৭ মার্চ, শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে, তা আরও বেগবান করতে এই প্রজন্মকে দেশমাতৃকার প্রতি গভীর মমত্ববোধ নিয়ে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে দ্রুত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হবে।

এর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস ঘিরে কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় নানা আয়োজন করেন। এ উপলক্ষ্যে আনন্দ র‍্যালি ও কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য,১৯২০ সালের ১৭ মার্চ রাত আটটায় ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ পরিবারের আদরের ‘খোকা’। তার পুরো নাম শেখ মুজিবুর রহমান। তার পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান ও মাতার নাম সায়েরা খাতুন।‍ ছয় ভাইবােনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তৃতীয়। বাবা-মা তাকে ডাকতেন খােকা বলে। আর এই শিশুটি পরবর্তীতে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী। যিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছিলেন বাঙালির ‘মুজিব ভাই’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু’। তার হাত ধরেই আসে বাঙালির স্বাধীনতা, জন্ম নেয় বাংলাদেশ। এভাবে তিনি হয়েছিলেন বাঙালি জাতির জনকও। নেতৃত্বে বাঙালির বহু বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙেছে। শুধু তাই নয়, তার সুদূরপ্রসারী বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিশ্বের বুকে জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ নামের নতুন একটি জাতিরাষ্ট্র।

বিবার্তা/ রাসেল/মাসুম