ধর্মীয় বক্তারা নতুন বই নিয়ে মিথ্যাচার করছেন: শিক্ষামন্ত্রী
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:৩৩
ধর্মীয় বক্তারা নতুন বই নিয়ে মিথ্যাচার করছেন: শিক্ষামন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ধর্মীয় বক্তারা নতুন বই নিয়ে মিথ্যাচার করছেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।


তিনি বলেন, ২০২২ সালেও করোনার প্রভাব শেষ হয়নি। কাগজের সংকট, বিদ্যুৎ সংকটসহ বিভিন্ন সংকট মোকাবিলা করে নতুন বছরে আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দিয়েছি। বই ছাপানো নিয়ে অনেকেই কটু কথা ও মিথ্যাচার করছেন। বলা হচ্ছে আমরা ইসলাম ও পর্দা প্রথাকে হেয় করেছি। বৌদ্ধ, খৃস্টান, হিন্দুত্ববাদ ও সমকামিতাকে উস্কে দিয়েছি, পৌত্তলিকতা ও সমকামিতাকে প্রশ্রয় দিয়েছি, মুসলিম শাসকদের হেয় করেছি। আদৌ কি তাই? মূলত এগুলো মিথ্যাচার। বিশেষ করে ধর্মীয় বক্তারা এই মিথ্যাচারগুলো বেশি করছেন।


৩০ জানুয়ারি, সোমবার বেলা ২টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে কৃতি শিক্ষার্থীদের স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।


শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, চিলে কান নিয়ে গেছে প্রবাদের মতো আপনারা চিলের পিছনে না ছুটে কানে হাত দিয়ে সত্যতা যাচাই করে দেখবেন। বইয়ের ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে পারবেন যেকেউ। তবে মিথ্যাচার করবেন না। বইয়ে ভুল থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। সেগুলো আপনারা আমাদের ধরিয়ে দিলে আমরা সাথে সাথে সেগুলো সংশোধন করে দিব। তবে এবার আমাদের বইগুলো সবাই পড়ছেন। ফলে ভুলগুলো উঠে আসছে। তাই আমরা সহজেই তা সংশোধন করতে করতে পারছি।


তিনি বলেন, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হয়রানি বন্ধ করতে আমরা গুচ্ছ পদ্ধতি চালু করেছি। শুধু গুচ্ছ পদ্ধতি নয় শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে আমরা কাজ করছি। এখন ইংলিশ মিডিয়ামে শুধু উচ্চবিত্তরা না নিম্নমধ্যবিত্তরাও পড়াশোনা করছেন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক শিক্ষার জন্য প্রয়োজন আধুনিক মাস্টারপ্ল্যান। একজন নাগরিককে সবদিক দিয়ে স্মার্ট হয়ে গড়ে উঠতে হবে। স্মার্ট নাগরিকের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট শিক্ষার। আর স্মার্ট শিক্ষার ফলেই দেশ হয়ে উঠবে উন্নত। আর স্মার্ট শিক্ষার ক্ষেত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।


ডা. দীপু মনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে গবেষণার জায়গা। ফলে গবেষণা নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হয় মেধাবী। তাদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনলে তারা আরও গুণগত শিক্ষা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে পারবেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। আজকের শিক্ষার্থী আগামী দিনের শিক্ষক এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. এ এম হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অবাইদুর রহমান প্রামাণিক।


অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মো. মুরশেদুল কবীরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীরা ও তাদের অভিভাবকগণ।


বিবার্তা/রাসেল/জামাল

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com