২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউহিসি) অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীরাও ঢাবিতে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে (মাস্টার্স) ভর্তি হতে পারবেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর স্নাতকে অন্তত ৩ দশমিক ২৫ সিজিপিএ থাকতে হবে এবং ঢাবির স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তি হতে এসএসসি ও এইচএসসির যে ন্যূনতম ফলাফল দরকার তা থাকতে হবে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য এক সিন্ডিকেট সভায় নিয়মটি চালুকরণে কিছু বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী মাস্টার্সে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।
গেল বছরের ৩০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির এক সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরে ৩০ অক্টোবর নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আলোচনায় বলা হয়েছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের অনার্স করার পর মাস্টার্স করার বাধ্যবাধকতা থাকে না। এ কারণে অনেক গ্র্যাজুয়েটরা মাস্টার্সে ভর্তি না হওয়ায় আসন ফাঁকা থেকে যায়। এখন থেকে সেসব আসনের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে যোগ্যদের সুযোগ দেওয়া হবে।
অন্যান্য শর্তসাপেক্ষে মাস্টার্সে যারা ভর্তি হতে পারবে:
সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রকাশিত নীতিমালা অনুযায়ী— বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএর যোগফল ৮ এবং আলাদাভাবে ৩ দশমিক ৫ থাকতে হবে। মানবিকের শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম জিপিএর যোগফল ৭ দশমিক ৫ এবং আলাদাভাবে ৩ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জিপিএর যোগফল ৭ দশমিক ৫ এবং আলাদাভাবে ৩ থাকতে হবে ৷
ঢাবির নিয়মিত শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার পর যতগুলো আসন ফাঁকা থাকবে এ কয়টিতেই বাইরের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে।
শর্ত পূরণ হলে ভর্তিচ্ছুদের ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইভা পরীক্ষা দিতে হবে।
বিভাগ ও ইনস্টিটিউটগুলো আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে এবং মেধা তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেবে।
এই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক সুবিধা পাবেন না। তবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এই বিধান শিথিল হতে পারে।
ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে, স্নাতকোত্তরে ভর্তির জন্য আসনের সংখ্যা সংশ্লিষ্ট বিভাগের পাশাপাশি জাতীয় ও বৈশ্বিক চাহিদা বিবেচনায় বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের পূর্বানুমোদন নিতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা অন্যান্য পাবলিক ও ইউজিসি অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছি। ইউজিসি অনুমোদিত যেকোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এখন থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর ঢাবিতে তাদের পছন্দের বিষয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদেরও ভর্তির সুযোগ দেবে ঢাবি।
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাবির বিভাগগুলো বাইরের শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তরে ভর্তি করতে পারবে বলে জানিয়েছেন ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।
ঢাবির ৮৩টি বিভাগ ও ১৩টি ইনস্টিটিউটে স্নাতকোত্তরের আসন রয়েছে ৬ হাজার ২৭০টি। স্নাতক সম্পন্ন করার পর অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে চলে যান কিংবা চাকরিতে যোগ দেন। ফলে স্নাতকোত্তরের অনেক আসন ফাঁকা থাকে।
বিবার্তা/সাইদুল/এসএফ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]