ঢাবি সাংস্কৃতিক সংসদের নবীন বরণ ও সেরা সদস্য সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৫৪
ঢাবি সাংস্কৃতিক সংসদের নবীন বরণ ও সেরা সদস্য সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং শীতকালীন উৎসব আমেজের মধ্য দিয়ে "ঊষা" নামধারী নবীনতম ব্যাচের সদস্যদের বরণ করে নিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ।


১৯ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ এর নবীন বরণ 'ঊষা বরণ' শিরোনামে অনুষ্ঠিত হয়।


বেলা ৩টায় উদ্বোধন করা হয় অনুষ্ঠানের মূল পর্ব এবং এর পরে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে টিএসসি প্রাঙ্গণে আয়োজিত হয় মেলা।


বছরব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন ও পরিবেশনার মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি সর্বত্রই বাঙালিয়ানার ছাপ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ। বাংলা বর্ণমালার বিভিন্ন বর্ণ দিয়ে ধারাবাহিকভাবে করা হয় বিভিন্ন ব্যাচের নামকরণ। অয়োময়, আত্রেয়ী, ইচ্ছামতী, ঈশাণ, উচ্ছ্বাস ইত্যাদি ব্যাচের ধারাবাহিকতায় সময়ের পরিক্রমায় নতুন আরেকটি ব্যাচ ঊষা'র সদস্যদের পদচারণায় আরও সমৃদ্ধ হলো এই সংসদটি।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পরিচালক খোরশেদ আলম, খ্যাতিমান অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মনোজ কুমার প্রামাণিক এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা জুলহাজ জুবায়ের। আয়োজনে সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের মডারেটর এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ সামাদ বলেন, সমাজে বসবাসরত মানুষের সংস্কৃতির যে চিহ্ন কি কি হতে পারে এ বিষয়ে আমি ডেভেলপমেন্ট পড়ানোর সময় উধাহরণ হিসেবে কিছু বিষয়ে উপস্থাপন করতাম। তার ওপর ভিত্তি করে মানবজীবন পরিচালিত হয়। এসময় তিনি মানুষের মাথায় ব্যবহৃত 'টুপি'র ধরণ ব্যাখ্যা করেন। টুপির ওপর ভিত্তি করে আলাদা সমাজ, ধর্ম এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়। কাজেই ধর্ম, রাজনীতি, সংস্কৃতি আমাদের জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। জাতিভেদে আমাদের সংস্কৃতি ভিন্ন হয়। বাঙালি মানে বাংলাদেশের বাঙালি- হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান নির্বিশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশের। এই বাঙালি সত্তার চর্চা করা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব।


বিশেষ অতিথি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের মতে, স্বকীয় সংস্কৃতির চর্চা না করলে মানুষের মাঝে মূল্যবোধের ঘাটতি তৈরী হয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য, রাজনৈতিক আন্দোলনের জন্য এবং জাতিগত উন্নয়নের জন্য নিজেদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার চেষ্টার কোনো বিকল্প নেই।


মডারেটর সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী বলেন, শিক্ষক হিসেবে আমার সৌভাগ্য একঝাঁক উদ্যমী তরুণদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনে যুক্ত হতে পারা। আমি বিশ্বাস করি এই তরুণদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। আমাদের সংস্কৃতি বিশ্বের মানচিত্রে আরো প্রগাঢ় জনপ্রিয়তা লাভ করবে। যারা শুরু থেকে এই সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং নতুন করে যারা যুক্ত হচ্ছেন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই সংসদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।


অত্র অনুষ্ঠানে সংগঠনদের সক্রিয় সদস্যদের সেরা সদস্য সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়।


উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ যাত্রার শুরু থেকেই সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ও স্বকীয়তার সুস্থ চর্চায় সচেষ্ট। নিজেদের আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দেশব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় তাদের অংশগ্রহণ ও পরিবেশনা প্রশংসনীয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সহাবস্থানে সম্প্রীতি চর্চা ও অসাম্প্রদায়িকতার আদর্শ তরুণদের মাঝে প্রসারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।


বিবার্তা/সাইদুল/জেএইচ


সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com