দেশ ও সমাজের উন্নয়নে আত্মপ্রত্যয়ী ব্যারিস্টার লিপি আক্তার
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:২৯
দেশ ও সমাজের উন্নয়নে আত্মপ্রত্যয়ী ব্যারিস্টার লিপি আক্তার
সামিনা বিপাশা
প্রিন্ট অ-অ+

'এমন একটি পরিবারে আমার বেড়ে ওঠা, যেখানে ছোটোবেলা থেকেই শুনেছি একটি নাম, 'শেখ সাহেব'। শেখ সাহেব বলতে অবশ্যই তাকে বোঝানো হয়, যিনি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যিনি বিবিসি জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, যার কারণে আমরা একটা মানচিত্র পেয়েছি, পেয়েছি স্বাধীন- সার্বভৌম বাংলাদেশ। বাবা-মায়ের মুখে সবসময়ই শুনতাম বঙ্গবন্ধুর কথা। দেশের জন্য তাঁর আত্মত্যাগ, সংগ্রামে-আন্দোলনে সোচ্চার একটি নাম বঙ্গবন্ধু, পঁচাত্তরে তাকে নির্মমভাবে সপরিবার হত্যার নৃশংস ঘটনা, সবই বাবা-মায়ের মুখে শুনেছি। পরবর্তীতে শৈশব-কৌশোরেই আমি নিজ প্রচেষ্টায় জানার চেষ্টা করলাম বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে।' রাজনীতিতে আসার পেছনে কোন চেতনা, কোন বোধ, কোন আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছেন সে প্রসঙ্গে এমনটাই বলছিলেন ব্যারিস্টার বি এম লিপি আক্তার।



একই প্রসঙ্গেই তিনি আরো বলেন, একটা মানুষ দেশের জন্য জীবন দিতে পারে, বেঁচে থাকার প্রতিটাদিন দেশের জন্য উৎসর্গ করতে পারে এমন ব্যক্তি একজনই এই বাংলায় ছিলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রত্যেকটা সংগ্রামে প্রত্যেকটা আন্দোলনে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশের জন্য তার চেতনা, তার বোধ সত্যিকার অর্থেই অনুকরণীয়, অনুসরণীয়, এককথায় ধারণ করার মতো। অনেক নেতাকেই ইতিহাসে পাই, কিন্তু জাতির পিতার ভূমিকাটা ছিল অন্যরকম এবং স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য তার প্রয়োজন ছিল অত্যাবশ্যকীয়। জাতির পিতার চেতনা, বোধ ও আদর্শই আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে দেশ ও দশের জন্য কাজ করার বিষয়ে। আর, দেশ ও দশের জন্য কাজ করতে চাইলে রাজনীতি বেস্ট প্ল্যাটফর্ম।'


ব্যারিস্টার বি এম লিপি আক্তার, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ আইন সম্পাদক। ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখার সভাপতি ছিলেন।



সভাপতি হওয়ার পূর্বে তিনি রোকেয়া হলের সাংগঠনিক সম্পাদক (১) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক অঙ্গনে জ্বলজ্বলে নাম ছিলেন লিপি আক্তার। ধারালো কণ্ঠের জোরালো আওয়াজে জেগে উঠেছেন বঙ্গবন্ধুর মতাদর্শকে নিজের মধ্যে লালন করে। স্লোগানে, মিটিং, মিছিলে উচ্চকিত কণ্ঠ, সক্রিয় ভূমিকায় রাজপথে অগ্রসরমান যাত্রা লিপি আক্তারকে পৌঁছে দেয় আরেকটি কাঙ্ক্ষিত অর্জনে। দীর্ঘ আটাশ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন হয়, নির্বাচিতদের তালিকায় উঠে আসে তার নাম। ২০১৯ সালে ২৮ বছর পর ডাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তিনি কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।



ব্যারিস্টার বিএম লিপি আক্তার ডাকসুর নির্বাচন ঘিরে নিজের সাফল্য নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত স্বরে বলেন, এটা আমার জীবনের অন্যতম একটা প্রাপ্তি। এই অনুভূতিটা বোঝানো যাবে না। এত দীর্ঘ সময় পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এটাও অসম্ভব আনন্দের, আমি নির্বাচিত হই সেটাও আমার সৌভাগ্য।


লিপি আক্তারের শৈশব কেটেছে নদীভাঙনের গল্পের একদম প্রান্তে দাঁড়িয়ে। কৈশোরের স্মৃতিতে আছে গ্রাম্য নারীদের অসহায় জীবনের আর্তনাদ। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার এক সকরুণ চিত্র দেখে দেখেই বড়ো হয়ে উঠেছেন, কারণ সেসময়টি কেটেছে একদমই প্রত্যন্ত এক গ্রামে। শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় সেই ছায়া সুনিবিড় অথচ বেদনায় কাতর গ্রামে। নদীভাঙনে অসহায় মানুষ এপার থেকে ওপারে যায়, আবার ওপার থেকে এপারে, জমিনির্ভর জীবনে অসম্ভব করুণ সেই বেঁচে থাকা। তারই সাথে সবিশেষ যুক্ত ছিল গ্রাম্য নারীদের জীবনের বেদনায় ভারাক্রান্ত জীবন, যার দৃশ্যপট জুড়ে ডমেস্টিক ভায়োলেন্স, বাল্য বিবাহ, অনগ্রসর নারীজীবন। ক্লাস সিক্স পড়ুয়া লিপি আক্তার বুঝে নিল কিছু করা চাই বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য। তবে, লিপি আক্তার বিষয়টি নিয়ে ভাবলেন একটু অন্যভাবে।


লিপি আক্তার বলেন, ছোট থেকে বড় হওয়ার প্রতিটি ধাপে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানার চেষ্টা করে আমি বুঝতে পারলাম, বঙ্গবন্ধু তার নিজের পুরোটা জীবন আত্মত্যাগ করেছেন বাংলা ও বাংলার মানুষের জন্য। একইভাবে, বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী দেশরত্ন জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার মতোই দেশের জন্য চিন্তা করেন।



দুজনের চিন্তা-চেতনা জুড়েই প্রতিটা মুহূর্তে দেশের মানুষের কল্যাণ চিন্তা, শুভ কর্মের প্রত্যয়। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু কন্যার এই চেতনা, বোধ-বুদ্ধি ও আদর্শ আমাকে খুব টানে। আমি নিজের ভেতরে তাদের দুজনের মতোই ভালো কাজের, দেশের জন্য, দশের জন্য কাজ করার তাগিদ অনুভব করি।


বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে একইসাথে পড়ালেখা ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে কীভাবে কর্মঠ রেখেছেন এবং সফল হয়েছেন জানতে চাইলে লিপি আক্তার বলেন, যখন একাধিক কাজ হাতে থাকে, আগেই নির্বাচন করতে হবে কোন কাজটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেটিকে প্রাধান্য দিয়ে সেই কাজটিই প্রথমে করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন অনেক সময়ই এমন হয়েছে একটা কাজ গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু পরে করলেও চলবে, সেভাবেই কাজগুলোকে সাজিয়ে নিতাম। এভাবে আমি পড়াশোনা এবং রাজনীতিকে একইসাথে এগিয়ে নিয়েছি।



তিনি আরো বলেন, আমার ফ্যামিলি অনেক সাপোর্টিভ। আমার বাবার বাড়িতে তো সাপোর্ট তো পেয়েছিই আমার শ্বশুরবাড়িও অনেক সাপোর্ট দিয়েছে। আমার হাসবেন্ড খুব সাপোর্টিভ। বারেট ল' এর একটা পার্ট আমি করেছি বিয়ের পর, সেইক্ষেত্রে আমার হাসবেন্ড আমাকে খুব সহযোগিতা করেছে। আমার বাবা-মা, শ্বশুরবাড়ির লোকজন, আমার হাসবেন্ড কেউই আমার কাজে বাধা সৃষ্টি করেনি কখনো।


বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারী হিসেবে রাজনৈতিক অঙ্গনে কতটা বাধার মুখে পড়তে হয়েছে সে প্রশ্নের উত্তর লিপি আক্তার বলেন, আসলে সেরকম বাধা আমার সামনে আসেনি। আগেই বললাম পারিবারিক সহযোগিতা আমি সবসময় পেয়েছি। তবে, কিছু সময় এমন হয়েছে যে, মা বলেছে, রাজনীতি তো একটা অনিশ্চিত লাইফ, তুমি এখানে থাকবা কি না, বরং বিসিএস দাও। ক্যাডার হও। এসব কথা যে সে বলত তাও কিন্তু পরিবারের অন্যরা কেউ নিশ্চিত জীবনের প্রসঙ্গ তুললেই বলত। এছাড়া কিন্তু পরিবার আমাকে স্বাধীনভাবেই কাজ করতে চলতে দিয়েছে। আরেকটা বিষয়, আমি কখনো চাকরির পরীক্ষা দেইনি। আমি আসলে সবসময়ই স্বাধীনভাবে কাজ করাতে বিশ্বাসী। যদি আমি একটা জায়গায় আটকে যাই, টেবিলজবে ইনভলভ হই, নির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে হবে আমাকে, সেই কাজের বাইরে আমি কোনো কাজ করতে পারব না। অবসরে যাওয়ার আগে রাজনীতি করার সুযোগ হয়ে উঠবে না। মাঠ পর্যায়ে রাজনৈতিক কাজ করতে হলে চাকরি করে আমি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারব না। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয়েছে, আমার যা মেধা আছে, আমার যা পটেনশিয়ালটি আছে সেটা আমি বিভিন্ন কাজে লাগাতে চাই।'



পড়াশোনাকে রাজনীতির পাশাপাশি সমানভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন লিপি আক্তার। বারেট ল পড়ার সময় নিয়মিত ১০-১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করতে হয়, সেটাও করেছেন, আবার সংসার, সন্তান প্রতিপালনও করেছেন। খুব কঠিন সময় পার করেছিলেন ব্যারিস্টারি পড়ার সময়। ব্যারিস্টারি ফার্স্ট ইয়ারে পড়ার সময় বিয়ে হয়, সেকেন্ড ইয়ারে যখন পড়েন তখন তিনি পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন, থার্ড ইয়ারে বাবা ব্রেন স্টোক করে মারা যায়। আর ফোর্থ ইয়ারে তো দেশের, পরিবার পরিজন ছেড়ে লন্ডনে যেতে হয়, সেখানে গিয়েও ৮-১০ ঘণ্টা পড়াশোনা। বাচ্চা কাঁধে ঝুলে আছে, তিনি ড্রাফটিং করছেন এমন পরিস্থিতিতেও হাল ছেড়ে দেননি লিপি আক্তার।


ব্যারিস্টারি পড়ায় সময় অতিক্রম করে আসা চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে লিপি আক্তার বলেন, বারেট ল'এর ফাইনাল পার্ট করতে যখন যাই তখন আমার ছেলের বয়স ছিল তেরো মাস।



২০২২ সালের জানুয়ারির কথা এটি। যখন যাই আমার ছেলের ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা হয়। আমি আমার ছেলে ও হাসবেন্ডকে রেখেই লন্ডন যাই। এক সপ্তাহ পর ওরা ভিসা পেয়ে লন্ডনে আসে। তিনি মনে করেন তার সাফল্যের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার, তিনি যা করতে চান যতক্ষণ তা না হয়, সেটার পিছনে লেগে থাকেন।


লিপি আক্তার আরো বলেন, আমার সবসময়ই মনে হত, আমি যদি কিছু করতে চাই আমার ভয়েস রাইজ করতে চাই আমাকে ব্যারিস্টারি কমপ্লিট করতে হবে। মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলতে চাইলে, মানুষের পক্ষে কথা বলতে চাইলে আমাকে ল'ইয়ার হতেই হবে। আমি এর বিকল্প কিছু খুঁজে পাই না।



মো. আলী হোসেন ব্যাপারী ও মোসা. মনোয়ারা বেগমের পঞ্চম সন্তান লিপি আক্তার। সাত ভাইবোন তারা। বাবা ব্যবসায়ী ও মা গৃহিনী। তার স্বামী ব্যারিস্টার রাশিবুল ইসলাম, ল ইয়ার হিসেবে প্র‍্যাকটিস করছেন। লিপি আক্তার নিজেও জুনিয়র ল ইয়ার হিসেবে প্র‍্যাকটিস করছেন। তার ছেলের বয়স বর্তমানে দুই বছর আট মাস। উর্দুতে স্নাতক সম্পন্ন করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ক্রিমিনোলজিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। এলএলবি করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন-এর অধীনে, ব্রিটিশ ল, এটা ছিল তার সেকেন্ড গ্রেজুয়েশন।


চলতি বছরের জুলাইতে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি হয় এবং সেটিতে লিপি আক্তার সহ আইন সম্পাদক হিসেবে কমিটিতে আছেন।



ভবিষ্যত পরিকলনা কী সেই প্রশ্নের উত্তরে লিপি আক্তার বলেন, আই ওয়ান্ট টু ডু সামথিং ফর দ্য পিপল ফর দ্য বেটারমেন্ট অফ মাই কান্ট্রি। অর্থাৎ আমি জনসাধারণের জন্য কাজ করতে চাই, আমি রাজনীতিতে একটা নির্দিষ্ট আদর্শে বিশ্বাসী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, এই দলের সাথে আছি, কাজ করে যাবো আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে।



বর্তমান বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের অগ্রযাত্রা প্রসঙ্গে লিপি আক্তার বলেন, রাজনৈতিক জীবনে আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে কোন সমস্যার সম্মুখীন হইনি। কিন্তু অনেক আগের চর্চা এটা যে, আমাদের সমাজব্যবস্থায় একজন নারীর রাজনীতিতে অংশগ্রহণ খুব স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না সবাই। যদিও যুগ বদলাচ্ছে, রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী শিক্ষা, সমাজে নারীর অংশগ্রহণমূলক অবস্থান তৈরি ও নারীদের কর্মসংস্থান সর্বোপরি নারীর মুক্তি ও ক্ষমতায়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা যা করেছেন তা আসলে বিরল। আমাদের পিতৃতান্ত্রিক দেশে মেয়েদের অবৈতনিক শিক্ষা, উপবৃত্তি, কর্মসংস্থানের জন্য প্রধানমন্ত্রী যা যা করছে তা আসলে প্রশংসা করে বোঝানো সম্ভব না। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের বসানো হচ্ছে, পরিবর্তন হচ্ছে, এই প্রচেষ্টায় শেখ হাসিনার অবদান অনস্বীকার্য। আরেকটি বিষয়, একার সচেতনতায় কিন্তু একজন নারী সফল হতে পারবেন না তার পরিবারের বিশেষত বাবা, ভাই, স্বামীর সহায়তা প্রয়োজন।



ব্যারিস্টার বি এম লিপি আক্তার ছোট থেকেই দেশ ও সমাজ উন্নয়ন ও পরিবর্তনের স্বপ্নে আত্মপ্রত্যয়ী। তিনি বলেন, এমন একটি বাংলাদেশ দেখার প্রত্যাশা করি আমি যেখানে কেউ বলবেন না আই হেট পলিটিক্স, আই হেট বাংলাদেশ। উন্নত দেশে থাকার ইচ্ছা যারা অনুভব করেন, তারা সেই ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে দেশের জন্য কাজ করার চেষ্টা করুন। দেশের বাইরে না গিয়ে আপনার মতামত প্রকাশ করুন। তাহলেই দেশ পরিবর্তন হবে, সামগ্রিক উন্নতিও সম্ভব হবে। যতটুকু অনগ্রসর আমরা সেটিকে পেছনে ফেলেও এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।


বিবার্তা/এসবি/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com