২০১৪ সালের ৪ আগস্ট পদ্মায় স্মরণকালের ভয়াবহ নৌ দুর্ঘটনা ঘটে। আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় পিনাক ৬ নামের একটি লঞ্চ।
ওই দুর্ঘটনায় উদ্ধার হওয়া লাশের মধ্যে ২১ জনকে শিবচর পৌর কবরস্থানে অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন করা হয়। চার বছরেও তাদের কারো পরিচয় চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। আজো পিনাক ট্র্যাজেডির কথা মনে পড়লে আঁতকে ওঠেন যাত্রীরা।
সেদিন আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে পদ্মায় ডুবে যায় পিনাক ৬ নামের লঞ্চটি। ৪৯ জনের লাশ বিভিন্ন জেলা থেকে উদ্ধার করে শিবচরের পাঁচ্চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে আসা হয়। নিখোঁজ হন ৬৪ জন। উদ্ধার হওয়া লাশের মধ্যে ২১ জনকে শিবচরের পৌর কবরস্থানে অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন করা হয়। রেখে দেয়া হয় ২১ জনের ডিএনএ টেস্টের নমুনা। তবে এই চার বছরেও কেউ শনাক্ত করতে আসেনি লাশগুলোর।
সাধারণ যাত্রীরা জানান, ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বোঝাইয়ের কারণে পদ্মায় ঝরে গিয়েছিলো দুই শতাধিক তরতাজা প্রাণ। আর যেন অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে লঞ্চ চলাচল না করে এমনটাই দাবি সাধারণ যাত্রীদের।
বিআইডব্লিউটিএ কাঁঠালবাড়ী ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, পিনাক-৬ লঞ্চ ডুবির পর থেকে খুব সাবধানতার সাথে লঞ্চ চলাচল করা হয়। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ধারণ ক্ষমতার বাইরে যাত্রী ওঠানো হয় না। এছাড়াও ফিটনেসবিহীন কোনো লঞ্চ চলাচল করতে দেয়া হয় না।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, ডিএনএ টেস্টের নমুনার সাথে যদি কেউ প্রমাণ সাপেক্ষে মৃতদেহ শনাক্ত করতে আসে, তাহলে তারা চাইলে দেহবাশেষ নিতে পারবেন।
বিবার্তা/রবিউল/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]