দিপু দাসকে উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেন ফ্লোর ইনচার্জ: র‌্যাব
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৪২
দিপু দাসকে উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেন ফ্লোর ইনচার্জ: র‌্যাব
শ্রমিক দিপুকে (২৮) পিটিয়ে হত্যা করে লাশ গাছের ডালের সঙ্গে বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাক শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসকে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করার পর কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার তাকে উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেয় বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।


২০ ডিসেম্বর, শনিবার এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ১০ জনের তথ্য সাংবাদিকদের অবহিত করতে গিয়ে র‌্যাব-১৪ এর পরিচালক নাইমুল হাসান এই দাবি করেন।


এরই মধ্যে পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কোম্পানির ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর হোসেনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন কারখানার কোয়ালিটি ইনচার্জ এবং মিরাজ হোসেন আকন (৪৬)।


বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকায় পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কোম্পানির শ্রমিক দিপুকে (২৮) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ গাছের ডালের সঙ্গে বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।


দিপু তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। দুই বছর ধরে তিনি এই কোম্পানিতে কাজ করছিলেন। এ ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন।সেই মামলায় র‌্যাব-১৪ সাতজনকে এবং পুলিশ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।


ঘটনার বর্ণনা দিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা নাইমুল হাসান বলেন, “ঘটনার সূত্রপাত হয় ৪টার সময়। ফ্যাক্টরির ফ্লোর ইনচার্জ তাকে (দিপুকে) ইস্তফা দিতে বাধ্য করে। ইস্তফা দেওয়ার পর উত্তেজিত জনতার কাছে সে (ফ্লোর ম্যানেজার) হ্যান্ডওভার করে দেয়। পুলিশের কাছে কেন দেয়নি, তার নিরাপত্তা কেন নিশ্চিত করেনি সেজন্য পাইওনিয়ার কারখানার দুজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।


এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, “আমরা বার বার চেষ্টা করেছি, কাকে বলেছে, কী বলেছে- এটা কিন্তু কেউ বলতে পারেনি। আমার মনে হয়, উত্তেজিত জনতা কিংবা পূর্বের কোনো শত্রুতা ছিল কিনা সেটাও তদন্ত করে দেখব।”


“একটা লোককে এই অভিযোগে মেরে ফেলা এবং গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে তাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই আইনে কভার করে না এবং সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এটাকে গ্রহণযোগ্য মনে করে না।”


মামলা যেহেতু থানায় হয়েছে, ফলে থানাই এই মামলা তদন্ত করবে। পাশাপাশি র‌্যাবের ‘ছায়া-তদন্তের’ কথাও জানান পরিচালক নাইমুল হাসান।


গ্রেপ্তার অন্য আটজন হলেন- তারেক হোসেন (১৯), লিমন সরকার, মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিঝুম উদ্দিন (২০), আজমল হাসান সগীর (২৬), শাহিন মিয়া (১৯) এবং মো. নাজমুল।


শেষ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।


র‌্যাব-১৪ এর পরিচালক নাঈমুল হাসান বলেন, এরা কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


বিবার্তা/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com