সারাদেশ
আশানুরূপ উৎপাদন হলেও হতাশায় পাটচাষীরা
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:০৪
আশানুরূপ উৎপাদন হলেও হতাশায় পাটচাষীরা
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

পাট উৎপাদন আশানুরূপ হলেও উৎপাদন খরচ অধিক হওয়ায় লালমনিরহাটের পাট চাষিদের মাঝে হতাশা। পাটের ব্যবহার বাড়াতে প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস কৃষি উপদেষ্টার। বাংলাদেশের সোনালী ফসল পাট, সুনামের সহিত বিশ্বজুড়ে নাম ডাক থাকলেও এ বছর উৎপাদন খরচ অধিক হওয়ায় চাষিরা দিন দিন এই পাট চাষ থেকে হাত গুটিয়ে নিচ্ছে।


জেলার ঐতিহ্যবাহী চাপারহাট, শিয়ালখোওয়া, বড়বাড়ী হাটসহ অন্য হাটে চোখে পড়ার মত উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে পাট চাষিরা ও ব্যবসায়ীদের। রিকশা, ভ্যান আর ছোট ছোট যানবাহনে করে আনা সোনালি আঁশে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে জেলায় হাটগুলোতে। চলতি মৌসুমের পাট বেচাকেনায় রয়েছে সরগরম ঐতিহ্যবাহী হাট সহ ছোট ছোট গ্রামের হাট ও বাজারে ব্যবসায়ীদের মাঝে।


জেলা কৃষি অফিসের তথ্য সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় ৩ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে । অনুকূল আবহাওয়া ও সময়মতো চাষের কারণে প্রতি বিঘায় গড়ে ৮ থেকে ১০ মন পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে।


জানা গেছে, গতবছরে ২হাজার ২০০ থেকে ২হাজার ৫০০ টাকায় প্রতি মণ বিক্রয় হলেও এবছর মৌসুমের শুরু থেকেই ৩হাজার ২০০ থেকে ৩হাজার ৬০০ বিক্রয় হচ্ছে।


সরেজমিনে গিয়ে পাট চাষি ও ব্যবসায়ীদের থেকে জানা গেছে, কৃষকদের অভিযোগ কীটনাশক,সার, জাগ দেওয়ার জন্য এবছর শ্যালো মেশিন ব্যবহারে পনির খরচ ও শ্রমিক মজিুরি রেড়ে যাওয়ার প্রতিমণে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা খরচ বেশি হচ্ছে। ‎ তবে উৎপাদন খরচ বাড়ায় কম লাভ হওয়ার কথা জানান কৃষকরা।


কালীগঞ্জের উপজেলার পাট চাষি আব্দুস ছালাম বলেন,ফলন ভালো ও দাম সন্তোষজনক হলেও বাজারে এর চাহিদা কত দিন থাকবে এ নিয়ে শঙ্কায় আছে। শ্রমিকের ব্যয় বেশি, পাশাপাশি সার ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বেড়েছে। তাই পাটের দাম বাড়লে আশানুরূপ লাভবান হলে, কৃষকদের পাট চাষে আরও অগ্রহ বেরে যেতো।


শিয়াল খোওয়া হাটে পাট বিক্রয় করতে আসা চাষি আফজাল বলেন, এক বিঘা জমিতে পাট আবাদ করে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। হিসাব করে দেখা যাবে খরচ ও পরিশ্রমের চেয়ে এর ন্যয্য দাম আমার পাবো না।


জেলার ঐতিহ্যবাহী চাপারহাটে পাট বিক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, ফলন ভাল হয়েছে কিন্তু উৎপাদন খরচ অধিক হওয়ায়, এই লাভে পাট চাষ সম্ভব হবে না।


জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইখুল আরিফিন বলেন, পলিথিন নিষিদ্ধ হওয়ায় বিশ্ববাজারে পাটের চাহিদা বেড়েছে। ফলে এ বছর কৃষকরা লাভজনক অবস্থায় আছেন। বর্তমান বাজারদরে প্রতি মণে গড়ে এক হাজার টাকার বেশি লাভ হচ্ছে।


বিবার্তা/বিপ্লব/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com