ব্রাহ্মণবাড়িয়ার
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে রপ্তানি আয়, কমেছে রাজস্ব
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩:৩৫
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে রপ্তানি আয়, কমেছে রাজস্ব
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে রপ্তানী আয়। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে ভারতে ৫শ ১৪ কোটি টাকারও বেশী পণ্য রপ্তানী করা হয়। যা বিগত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৮৭ কোটি টাকা বেশী। তবে আমদানি অনিয়মিত হওয়ায় কমেছে রাজস্ব আদায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত মে মাসে বাংলাদেশ থেকে ৬ ধরনের পণ্য আমদানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে নতুন অর্থবছরে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হবে এই বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য। তবে রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াতে ভারতে নতুন পণ্যের বাজার খোঁজার পরামর্শ বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের।


দেশের অন্যতম শতভাগ রপ্তানীমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর। এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন হিমায়িত মাছ, ভোজ্য তেল, সিমেন্ট, পাথর, শুটকী মাছসহ ১০/১২ ধরণের পণ্য ভারতে রপ্তানী হয়ে থাকে। এরমধ্যে সিংহভাগ রপ্তানী হয় হিমায়িত মাছ। প্রতি কেজি আড়াই মার্কিন ডলারে পাঙ্গাস, পাবদা, রুই, কাতল ও ট্যাংরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রপ্তানি হয় ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে।


২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৫১৪ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকার পণ্য। রপ্তানি পণ্যের তালিকায় ছিলো হিমায়িত মাছ, সিমেন্ট, প্লাস্টিক, প্রক্রিয়াজাত খাবার, তুলা, ভোজ্য তেল, আটা ও ময়দাসহ বিভিন্ন পণ্য। সবেচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক ও প্রক্রিয়াজাত খাবার। পরিসংখ্যান বলছে বিগত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ভারতে রপ্তানীর পরিমাণ ছিলো ৪২৭ কোটি ৮৮ লক্ষ ৭২ হাজার ৪৩০ টাকা। যা ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১৪ কোটি ৩৪ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৯ টাকা। একই সময়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৭ কোটি ৩১ লক্ষ ৮২ হাজার টাকার জিরা, ডাল ও কাজুবাদাম। এ থেকে সরকারের রাজস্ব এসেছে ৪ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা- যা বিগত অর্থবছরের তুলনায় ৫১ লক্ষ টাকা কম।


তবে, গেলো মে মাসে ত্রিপুরা, আসাম, মিজোরাম ও মেঘালয়ের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে বাংলাদেশে থেকে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফলের স্বাদযুক্ত জুস, তুলা, প্লাস্টিক, পিভিসি সামগ্রী ও কাঠের ফার্ণিচার আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। এসব পণ্যের মধ্যে তৈরি পোশাক ও কাঠের ফার্ণিচার ছাড়া বাকি সবকটি পণ্য নিয়মিত রপ্তানি হতো আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে- যা মোট রপ্তানি বাণিজ্যের অর্ধেক।


ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে নতুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্থ হবে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এ অবস্থায় সংকট নিরসনে দুই দেশের কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধিসহ বাণিজ্য সচল রাখতে সকল পণ্য আমদানির সুযোগ চান তারা।


এদিকে রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াতে নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকা নতুন পণ্যের বাজার খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন বন্দর রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান আখাউড়া স্থলবন্দর।


জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানিয়েছেন, সম্প্রতি আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার। আশা করা যাচ্ছে, দুই দেশের কূটনৈতিক আলোচনা চলমান থাকায় দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।


উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সাল থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে চলছে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য।


বিবার্তা/আকঞ্জি/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com