ঈদুল আযহার ১০ দিনের ছুটিতেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা ছিল বিরামহীন। ২৪ ঘণ্টাই ছিল সেবার দরজা খোলা। এই সময়ে পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের এ কেন্দ্রটিতে নরমাল ডেলিভারিতে সন্তান জন্ম দিয়েছেন ১৭ প্রসূতি।

কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণপরিদর্শিক হাসিনা বেগম জানান, ঈদের ছুটিতেও আমাদের ডিউটি অব্যাহত ছিল। রোস্টার মোতাবেক ডিউটি করতে হয়েছে এইখানে দায়িত্বরত সকলেরই।

মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র থেকে ঈদের ছুটিতে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ১৭ জনের নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে আরো ১০২ টি নরমাল ডেলিভারি হয়েছে।তাছাড়া গর্ভবতী সেবা নিয়েছে ২ শতাধিক, প্রসব পরবর্তী সেবা ১৫০, প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ৮০,নবজাতক সেবা ১১৯ ও ডেলিভারি ১১৯ জন ।

জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক ডাক্তার শিরিন সুলতানা বলেন, সরকারি সকল চাকরিজীবী আনন্দে ছুটি কাটালেও আমাদের কপালে ছুটি নেই। ডাক্তার, ভিজিটর, এ্যাটেনডন্ট নার্স সবাই ডিউটিতেই ছিলাম।

পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মা ও শিশু কল্যানকেন্দ্র সহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সপ্তাহের ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা সেবা কার্যক্রম চালু ছিল ঈদুল আযহার ছুটিতেও। আমাদের একজন ভিজিটর নাইট ডিউটি করে আবার সকালে ডিউটি করছে। আবার জরুরি সেবা হিসেবে মানবিক কারণে একই ভিজিটর বিকেলেও ডিউটি করছে। এক ঘণ্টার জন্যেও আমাদের সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়নি ঈদের এই লম্বা ছুটিতে। এখান থেকে সেবা প্রত্যাশীরা নিয়মিত গর্ভকালীন সেবা, প্রসব সেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা, প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও নবজাতকের সেবা পাচ্ছে।

বিবার্তা/আকঞ্জি/এসএস