নাজিরপুরে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:১২
নাজিরপুরে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

পিরোজপুরের নাজিরপুরে ডুমুরিয়া নেছারিয়া আলিম বালিকা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও: একে এম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে সীমাহীন নিয়োগ জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক সদস্য সহ এলাকাবাসী।


মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় মাদ্রাসা মাঠে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।


এসময় শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকরা পৃথক পৃথক বক্তব্যে বলেন, গত ২৬ আগস্ট ২০২২ সালে একজন নৈশ প্রহরী, একজন অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর ও অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী পদে পিরোজপুর ফাজিল মাদ্রাসায় লোক দেখানো সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে প্রার্থী নির্বাচন করেন। নির্বাচিতদের নিয়োগ প্রদানের জন্য গভর্নিং বডির সদস্যদের অনুমোদন প্রয়োজন। অবৈধ নিয়োগ বৈধ করার লক্ষ্যে অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটির সদস্যদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাতের আঁধারে ভুল বুঝিয়ে রেজুলেশন বহিতে হুমকি দিয়ে স্বাক্ষর আদায় করেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল হক ও সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল তাদের মনোনিত প্রত্যেক প্রার্থীর কাছ থেকে ৫-৭ লাখ টাকার বিনিময়ে অযোগ্য লোক নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আরো উল্লেখ করেন, চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী শরিফ তিনি সবমসয় মাদকে আসক্ত থাকেন। নিয়োগকৃত প্রত্যেক কর্মচারীর নিয়োগ বাতিলের দাবি জানান।


এ নিয়োগের অভিযোগ নিয়ে ২০২২ সালে এলাকাবাসী একটি মানববন্ধন করেন মাদ্রাসা অধ্যক্ষের রিরুদ্ধে। যা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া সদ্য ৮ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার অধক্ষ্য এ কে এম ফজলুক হক এবং তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য হাবিবুর রহমান গাজীর একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং কালবেলা মাল্টিমিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরে ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী, ছাত্র জনতা, শিক্ষক এবং সাধারণ লোকজন এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।


এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়োগ বাণিজ্যে অধ্যক্ষের অনিয়মের বিভিন্ন প্রমাণ পায়। এসময় তারা এ অনিয়মের তীব্র নিন্দা এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।


এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল হক জানান, আমার কোন অপরাধ নাই, যা করেছে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ করেছে (সভাপতি), আরো কিছু জানতে চাইলে আমার মাদ্রাসার বাংলা শিক্ষক আলামীন খানের সাথে যোগাযোগ করেন।


এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরূপ রতন সিংহ জানান, মানববন্ধনের বিষয় ও এলাকাবাসীর স্মারকলিপি আমি এখনও দেখি নাই, বিস্তারিত, দেখে-শুনে আমি ওই মাদ্রাসায় ভিজিটে যাব, দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


বিবার্তা/মশিউর/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com