
চুয়াডাঙ্গায় চারদিন বিরতির পর আজ থেকে আবারও শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশা আর তীব্র ঠান্ডা বাতাসে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা।
চুয়াডাঙ্গায় অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৯ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ।
আবহাওয়াবিদেরা বলেন, কোনো এলাকায় তাপমাত্রা যদি ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে তাহলে ওই এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় এমন শীত অনুভূত হচ্ছে।
অসহ্য শীতের সঙ্গে মাঝারি থেকে গাঢ় কুয়াশায় সন্ধ্যার পর থেকে ভোর-সকাল এমনকি কখনো কখনো দুপুর অবধি ঢাকা পড়ছে শহর থেকে গ্রামগঞ্জ। জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবীরা শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন।
আলমসাধু চালক আবদুল আলীম বলেন, শীতে মন বলেনা বাড়ি থেকে বের হই। সাতসকালে কুয়াশার মধ্যে আলমসাধু চালাতে কষ্ট হয়। ঠান্ডা বাসাতে হাত-পা জমে যায়। পেটের তাগিদে কষ্টই সহ্য করতে হয়।
উত্তরের কনকনে ঠান্ডা বাতাসে ঠান্ডাজনিত রোগবালাই বেড়ে চলেছে। জেলার সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে রোটাভাইরাস, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, অ্যাজমাসহ শ্বাসকষ্টের রোগ নিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী ভর্তি হচ্ছেন, চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, এই শীতে মায়েদের সতর্কভাবে চলাফেরা করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ছয় মাস পর্যন্ত শিশুদের কেবল বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনীয় সব টিকা দিতে হবে। হাতে-পায়ে মোজা ও গরম পোশাক পরাতে হবে। ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত কোনো সমস্যা দেখলে দ্রুত হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশার আধিক্য কেটে যাবে। দুপুর নাগাদ সূর্যের দেখা মিলতে পারে। জেলায় তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা আছে।
বিবার্তা/আসিম/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]