
অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে আহত আইনজীবী ভুবন চন্দ্র শীলের (৫৫) অবস্থা এখনো শঙ্কটাপন্ন। গত দুই দিনেও তার জ্ঞান ফেরেনি। তিনি এখন রাজধানীর পপুলার হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে দেখা যায়, হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলায় আইসিইউয়ের সামনে সিঁড়িতে মেয়েকে নিয়ে অপেক্ষা করছেন তার স্ত্রী রত্না রানী শীল।
তবে ভুবনের কোনো নিশ্চয়তা দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। দুই দিনেও তার স্বাস্থ্যের কোনো উন্নতি নেই। এতে লাইফ সাপোর্টে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তিনি।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে রত্না রানী শীল বলেন, আমার স্বামীর তো কোনো দোষ ছিল না, সে কেন গুলিবিদ্ধ হলো, সে এসবের কিছুই জানে না।
তাহলে তাকে কেন এই ঘটনার ভুক্তভোগী হতে হলো। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। পারিবারিক সূত্র জানায়, রাজধানীর বারিধারা এলাকার গোমতী টেক্সটাইল লিমিটেডের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে কর্মরত ভুবন। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে অফিস থেকে বের হওয়ার সময় তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় স্ত্রীর।
রত্না বলেন, সেদিন রাত ১০টার দিকে খবর পাই ভুবন হাসপাতালে ভর্তি। ওই রাতেই ছোট ভাই তাপস মজুমদার ও একমাত্র মেয়ে ভূমিকাকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় ছুটে আসি। ঢাকায় যখন পৌঁছেছি তখন রাত ৩টা। ঘটনার পর দুই হাসপাতাল ঘুরে পপুলার হাসপাতালে ভুবনকে ভর্তি করা হয়। সেখানে সিসিইউতে অজ্ঞান অবস্থায় এসে তাকে পেয়েছি।
তার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। সেই সোমবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত একটু পর পর গ্লাস দিয়ে দেখছি, তিনি ঘুমিয়ে আছেন। কোনো নড়াচড়া নেই। ভুবন যদি একটু নড়াচড়া করতো, তাহলে একটু শান্তি পেতাম। কিন্তু ভুবন তো কোনো নড়াচড়া করছেন না। এছাড়া চিকিৎসকরাও কোনো নিশ্চয়তা দিচ্ছেন না।
গত সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের বিজি প্রেস এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ মামুনের গাড়ি ঘিরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। এ সময় মামুন গাড়ি থেকে বেরিয়ে দৌড় দিলে তাকে পিছু নিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় সন্ত্রাসীরা। আর তাদের ছোড়া গুলি মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন ও পথচারী আরিফুল হক ইমনকে বিদ্ধ করে। এর মধ্যে সন্ত্রাসী মামুন ও আরিফুল চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে ভুবন।
বিবার্তা/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]