উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢল ও বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন আমন চাষীরা। চলমান আমন মৌসুমে খরায় ধকল পুষে ওঠে আমন ধানের চারা রোপণ করেছেন কৃষকরা। তবে খরার পর এবার চতুর্থ দফায় সৃষ্ট বন্যায় তলিয়ে গেছে আমন ধানের চাষা। এতে করে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের।
চিলমারী উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস জানিয়েছেন, চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় ৮হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে চতুর্থ দফার বন্যায় ৪৫০হেক্টর আমন ধান পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়াও ৪৫ হেক্টর সবজি খেত তলিয়ে গেছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে কৃষকদের খোঁজ নিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠতে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে চলমান বন্যায় চিলমারী পয়েন্টে রবিবার দুপুর তিনটায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৪০ সেমি নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন গ্যাজ রিডার জোবাইর হোসেন জনি।
ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির ফলে নদের তীর উপচে এ উপজেলার নিম্না অঞ্চল ও সমতল এলাকায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ওই সব এলাকার বাসিন্দারা।
উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের চর পাত্র খাতার বাসিন্দা খতেজা বেগম জানান, তিন দিন থেকে বাড়িতে পানি বন্দী অবস্থায় রয়েছেন। রান্না করে খাওয়া নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। বিশুদ্ধ পানির সংকটে রয়েছেন বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, আমাদের এই জায়গায় ৯ থেকে ১০টি পরিবার রয়েছে তারা সকলেই পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাফিউল আলম জানান, চলমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিয়ে আগামীকাল মিটিং ডাকা হয়েছে বরাদ্দকৃত চাল বণ্টনের জন্য। পরশুদিন থেকে পানিবন্দিদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে।
বিবার্তা/রাফি/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]