
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি গ্রামের ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী একরামুল হক (৬০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত একই গ্রামের অবিনাশ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী বাসন্তী রানী রায় (৫০) ও তার ছেলে অনন্ত কুমার রায় (২৮) কে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা উভয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, নিহত একরামুল হক উপজেলার ৬ নং গোয়ালডিহি ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের ঘটু মিয়ার ছেলে। নিহত একরামুল পুলেরহাটসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ফেরি করে ভাঙ্গারি সংগ্রহ এবং ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন। গত বছরের ১৩ নভেম্বর আসামিদের বাড়ির পাশের ধান ক্ষেতে নিহত ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেলে পুলিশ তা উদ্ধার করে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করে। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেলে একটি হত্যা মামলা করা হয়।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মামলার প্রধান আসামী বাসন্তী রানী রায় টাকার বিনিময়ে শারীরিক মেলামেশা করতেন। নিহত একরামুল হকও সেদিন রাতে সেই বাসন্তীর কাছে যায়। নিহত একরামুল যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবন করলেও শারীরিক মেলামেশা করার জন্য প্রস্তুত না হলে বাসন্তী বিরক্ত হয়ে যান। এর মধ্যে তার ছেলে অনন্ত কুমার রায় বাড়িতে এসে মায়ের কুকীর্তি দেখার শঙ্কা নিয়ে বাসন্তী একরামুলকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা খেয়ে একরামুল ঘরের বাঁশের খুটিতে পড়ে মাথায় আঘাত পায় এবং ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে। মারা যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে মা-ছেলে পরামর্শ করে বাড়ির পাশের ধান ক্ষেতে মরদেহ ফেলে আসে।
খানসামা থানার ওসি (তদন্ত) তাওহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাসন্তী ও অনন্ত হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।
বিবার্তা/ জামান/সউদ/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]