নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় এক গৃহবধুকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে একাধিবার ধর্ষণের অভিযোগে ওই নারী দুইজনকে আসামিকে করে মামলা দায়ের করেছেন।

বুধবার (৩১ মে) সকালে জলঢাকা থানায় এই মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে অভিযান চালিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মামলার প্রধান আসামি সবুজ ইসলামকে (২৭) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামি উপজেলার মীরগঞ্জ পূর্ব শিমূরবাড়ী দলানের পাড় গ্রামের মতিন মিয়ার ছেলে। অপর আসামি একই গ্রামের মুকুল ইসলাম পলাতক বলে জানায় পুলিশ।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী ঢাকায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে আয়ার কাজ করে। ওই নারী ২৮ মে (রবিবার) ঢাকা থেকে বাবার বাড়ি ফিরে আসেন। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ মে) উক্ত দুই আসামি সন্ধ্যায় ওই নারীর বাবার বাড়ি গিয়ে পূর্বের ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। মীরগঞ্জ দিয়াবাড়ী রোড এলাকায় নিয়ে দ্বিতীয় আসামির সহযোগীতায় প্রধান আসামি সবুজ জোরপূর্বক নারীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ওই নারীকে আবারও মোটরসাইকেল করে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় রঙ্গের বাজার এলাকা অতিক্রম করার সময় ওই নারী চিৎকার করলে তাকে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে দুই আসামি পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী ছুটে এসে ঘটনার জানার পর পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে ওই নারীকে রাতেই উদ্ধার করে থানায় নেয় ও মামলা দায়ের করে।

উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী নারীর বিয়ের পর সবুজ ইসলাম ওই নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় ধর্ষক গোপনে তা মোবাইলে ধারণ করে রাখে। এরপর ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ওই নারীর কাছে ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ও পুনরায় একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ভিডিও ওই নারীর স্বামীকে দেখিয়ে বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনাও ঘটে।

জলঢাকা থানার চলমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিশ্বদেব রায় জানান, বুধবার সকালে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামীকে মিরগঞ্জ বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। মামলার অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেস্টা করা হচ্ছে।

বিবার্তা/সুজন/জবা