
দেশের সীমান্তবর্তী জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানা এলাকায় গত আট মাসে মাদকবিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ভারত সীমান্ত ঘেঁষা হওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য কসবা থানা এলাকা একটি অন্যতম জোন। এ এলাকা দিয়ে মাদক পাচার করতে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতে মাদক ব্যবসায়ীরা নিত্য-নতুন কায়দা আবিষ্কারসহ প্রায় প্রতিবারই তারা নতুন রুট ব্যবহার করে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়েই মাদক ব্যবসায়ীদের নিত্যনতুন কৌশলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এমন সফলতা পেয়েছে কসবা থানা পুলিশ। যার নেপথ্যে রয়েছেন কসবা থানার অফিসার ইনজচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম।
গেল আট মাসে গাঁজা, ইয়াবা, বিদেশী মদ, ফেন্সিডিলসহ ৪ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ২শ’ টাকার বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার ও মাদক পাচারে জড়িত ২২২ জনকে গ্রেফতার করা জেলাটিতে।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (পিপিএম) বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তাই সীমান্তবর্তী থানা হওয়ায় এখানে মাদককে অঙ্কুরেই বিনাশ করার সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ছড়িয়ে পড়ার আগেই যদি এগুলো (মাদক) উদ্ধার করা যায় এবং এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা যায়, তাহলে খুব বেশি দিন লাগবে না ‘মাদক’ নামক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে। দেশে সংঘটিত বেশির ভাগ অপরাধের পেছনে রয়েছে মাদক। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তর মাদক রোধ-উদ্ধারে কাজ করছে। তিনি মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পুলিশ জনতা ভাই ভাই হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রতিটি পরিবারে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বিবার্তা/নিয়ামুল/নিলয়
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]