
সমকামীদের অ্যাপের ফাঁদে পা দিয়ে প্রাণ হারান স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়া। এ হত্যার ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে শনাক্ত করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। তাদের মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন- মিল্লাত হোসেন মুন্না ওরফে মুন (১৯), এহসান ওরফে মেঘ (২৩) ও আনোয়ার হোসেন (৩৮)।
গ্রেপ্তারকৃতের ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছে ডিবি। অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, তারা সমকামীদের একটি অ্যাপের সদস্য। অনেককে ফাঁদে ফেলে তাদের কলাবাগানের বাসায় নিয়ে গিয়ে টাকা আদায় করত চক্রটি।
তিনি আরও জানান, অ্যাপটির অ্যাকটিভ সদস্য ছিলেন ইমতিয়াজ। তিনি কলাবাগানে তাদের বাসায় গেলে, ফাঁদে ফেলে টাকা দাবি করে চক্রের সদস্যরা। টাকা না পেয়ে তারা ইমতিয়াজকে হত্যা করে বলে জানায় ডিবি। চক্রের মূলহোতা আরাফাতসহ বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানায় গোয়েন্দা পুলিশ।
উল্লেখ্য, স্থপতি ইমতিয়াজ ঢাকার তেজগাঁও থানা এলাকার মোহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির নকশার কাজ করতেন। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
ইমতিয়াজ তেজগাঁও থানার ডমিসাইল এলাকায় নিজের ফ্ল্যাটে সপরিবারে বসবাস করতেন। গত ৭ মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরদিন তার স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর পরদিন সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের চিত্রকোট কামারকান্দা সেতু এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ৯ মার্চ পুলিশ মরদেহ আঞ্জুমান মুফিদুলে হস্তান্তর করে।
পরে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ইমতিয়াজ নিখোঁজের বিষয়ে প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হলে ১০ দিন পর পরিবার জানতে পারে, ইমতিয়াজ মোহাম্মদ খুন হয়েছেন। সিরাজদিখানে যে ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, তা ইমতিয়াজের। পরে আদালতের অনুমতিতে ওই মরদেহ উদ্ধার করে শনাক্ত করেন ইমতিয়াজের স্বজনেরা।
বিবার্তা/এনএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]