রাজধানীর বাড্ডায় স্বামীর সাথে অভিমান করে মনোয়ারা আক্তার (২৫) নামে গৃহবধূ গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

রবিবার (২৬মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে মধ্য বাড্ডার বড় টেক এলাকার একটি বাসায় এই ঘটনাটি ঘটে। তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব‍্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতকে হাসপাতালে নিয়ে আসা স্বামী শরিফুল ইসলাম বিবার্তাকে জানান, ২০১৫ সালে আমারা নিজেদের পছন্দে বিয়ে করি আমি হক ট্রেডিং কোম্পানির  ইলেকট্রিক মালামাল সাপ্লাইয়ের কাজ করি। আমাদের ঘরে এক বছর বয়সী এক মেয়ে ও ৮মাস বয়সী এক ছেলে রয়েছে।

আজ দুপুর দেড়টার দিকে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বাহিরে খেলনা কিনতে যাই । বাইরে থেকে বাসায় ফিরে  দেখি ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে মনোয়ারা। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল নিয়ে যাই।  পরে সেখান থেকে  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

তিনি আরোও বলেন, আমাদের সাথে প্রায় সময়ই ঝগড়া হত। শুধু আমাকে সন্দেহের চোখে দেখে আমি কাকে নিয়ে ঘুরতে যাই , কোন মেয়ের সাথে মোবাইলে কথা বলি এসব বিষয় নিয়ে। আজ সে কেন এই কাজটি করেছে। এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী  সদর উপজেলার মধ্যম  চারিপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে ছিল  সে। বর্তমানে মধ্য বাড্ডা বড় টেক এলাকায় একটি বাসায় পরিবারের সাথে থাকতেন।

ঢামেক  পুলিশ ফাড়ির  ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বিবার্তাকে বলেন, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে। মৃতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য পুলিশ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।

বিবার্তা/বুলবুল/এসবি