
ফটিকছড়িতে বেশ কয়েকটি স্থানে রাতদিন চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। এসব জুয়ার আসর ঘিরে দৈনিক লাখ লাখ টাকার লেনদেন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি জুয়া ঘিরে সমানতালে চলছে মাদক সেবন ও বিকিকিনি। এসব নিয়ন্ত্রণে কতিপয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এদিকে, জুয়া খেলার নেশায় মত্ত হয়ে অনেকে যেমন সর্বশান্ত হচ্ছে, পাশাপাশি বিপথগামী হচ্ছে যুবসমাজ।
জানা গেছে, ফটিকছড়ি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের নব কেরানির পরিত্যক্ত বাড়ি, নাজিরহাট পৌরসভার বাঘমারা পুকুর, শাহ চৌমুহনী সংলগ্ন হালদা নদীর চর, সুন্দরপুর ইউনিয়নের আজিম চৌধুরী ঘাটসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার একাধিক নির্জন স্থানে নিয়মিত বসে জুয়ার আসর। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একাধিক স্পটে তিন থেকে চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলায় মত্ত হয়ে উঠে জুয়াড়িরা।
৫ ফেব্রুয়ারি, রবিবার দুপুরে জুয়া খেলার হটস্পট হিসেবে পরিচিত নাজিরহাট পৌরসভার শাহ চৌমুহনীর পশ্চিম পাশে হালদার নদীর তীরে গিয়ে দেখা যায়, চরের ঝোপঝাড়ের ভিতরে ত্রিপল ও কাপড় দিয়ে আস্তানা তৈরি করা হয়েছে। আস্তনাটি এমনভাবে বানানো হয়েছে যে বাইরে থেকে বুঝা-ই যাবে না এখানে নিয়মিত জুয়ার আসর বসে। তাবুটির চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাস, মদ-গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের বিভিন্ন উপকরণ।
এছাড়াও জুয়ার আসর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুইটি খাতা। এতে লেখা রয়েছে জুয়া খেলার লেনদেনের হিসাব। পাশাপাশি আনিস, আলমগীর, দিদারসহ আরো বেশ কয়েকজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ রয়েছে উদ্ধারকৃত খাতায়।
এ নিয়ে স্থানীয় বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জুয়াড়িরা নিরাপদ স্থান হিসেবে নির্জন হালদার চর ও পরিত্যক্ত জমিদার বাড়ি বেছে নিচ্ছে। এসব জুয়ার আসর ঘিরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না।
ফটিকছড়ি থানার ওসি কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার বলেন, জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এসব কর্মকাণ্ডে কোনো প্রকার ছাড় নেই। খোঁজ নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিবার্তা/ফয়সাল/জামাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]