
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে রক্তের দাগ, হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল বিএনপি। মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত হত্যাকাণ্ড করেছে। যার মাস্টারমাইন্ড ছিলো খন্দকার মোশতাক এর সাথে জিয়াউর রহমান। তারা তাদের ওপর আরোপিত অভিযোগ আরোপ করতে চায় আওয়ামী লীগের ওপর। তারা কারাগারের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। ২১ আগস্ট সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিলো। গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিলো। প্রাইম টার্গেট আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনা। যেখানে ২৩টি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি, শনিবার সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, শাহ এ এম এস কিবরিয়া, আহসানাউল্লাহ মাস্টার, নাটোরের মমতাজ, সাংবাদিক মানিক শাহ, সামসুর রহমান, হুমায়ুন কবির বালু বিএনপির আমলে এসব হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছিল। এরপর মির্জা ফখরুল কোথা থেকে পেলেন, আমরা নাকি হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছি। এখন তিনি আমাদের ওপর 'উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে' চাপাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল সাহেব কারাগার থেকে বের হয়েই শুরু করেছেন একই সাজানো নাটকের পুনরাবৃত্তি। আমরা তার বিবৃতি পরে দেখলাম, তারা ঘুরে দাঁড়াবে। কোথা থেকে কোথায় ঘুরবেন সেটা আমাদের জানা নেই। এই ডিসেম্বরে না আগামী অক্টোবরে কবে আবার ঘুরে দাঁড়াবেন। তাদের আন্দোলনের চৌকস কথার ফুলঝড়ি আমরা অনেক শুনেছি। বিএনপির নেতারা জনগণের কাছে নিজেদের কেউ খাটো করছেন। আন্দোলন করার মত অবজেক্টিভ পজিশন বাংলাদেশে নাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি, পারভিন জামান, এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার প্রমুখ।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]