সম্ভাবনাময় নিঝুমদ্বীপে পর্যটক সমাগম কেন কমছে?
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৪
সম্ভাবনাময় নিঝুমদ্বীপে পর্যটক সমাগম কেন কমছে?
পর্যটন ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা নিঝুমদ্বীপ। নাম শুনলেই চোখে ভাসে মায়াবী হরিণ, সুদীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, দিগন্ত বিস্তৃত বিশাল কেওড়া বন। সাগরের জলরাশি আর ঢেউয়ের গর্জনের সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় মনোমুগ্ধকর এক পরিবেশ।


নৈসর্গিক এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতি বছর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসু হাজারো পর্যটক ঘুরতে আসেন নিঝুম দ্বীপে। কিন্তু নানা সমস্যায় জর্জরিত হওয়ায় সম্ভাবনাময় নিঝুমদ্বীপে দিন দিন কমছে পর্যটক সমাগম।


এছাড়া খানাখন্দে ভরা দ্বীপের প্রধান সড়কের কারণে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় জনগণ এবং পর্যটকদের। ক্রমেই আকর্ষণ হারাচ্ছে দেশের অন্যতম সেরা পর্যটন স্পটটি।


তবে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে দেশের অন্য যেকোনো পর্যটন কেন্দ্রের মতো জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে দ্বীপটি।


জানা যায়, ২০০১ সালে সরকার এটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করলেও চোখে পড়ে না তেমন কোনো উন্নয়ন কার্যক্রম। দ্বীপে হাতেগোনা কয়েকটি থাকার হোটেল ও খাবার রেস্টুরেন্ট থাকলেও তা খুবই নিম্নমানের। এতে নানা দুর্ভোগে পড়েন পর্যটকরা।


সরেজমিন দেখা যায়, রাস্তার মাঝখানে বিশাল বিশাল গর্ত হয়ে আছে। জোয়ারের স্রোতে সড়কের নিচের মাটি সরে গিয়ে ভেঙে পড়েছে ওপরের আরসিসি ঢালাইয়ের বিভিন্ন অংশ। মোটরসাইকেলে চলা গেলেও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও টমটম পার করতে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। যাত্রীসহ তিন-চারজন একসঙ্গে হয়ে ধাক্কা দিয়ে গাড়িগুলো পার করতে হচ্ছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় যাত্রী নামিয়ে খালি গাড়ি পার করছেন অনেকে।


স্থানীয়রা জানান, এই ভাঙা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন অনেকে। কয়েক দিন আগেও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান নিঝুম দ্বীপ ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিনের ছেলে সম্পদ। কয়েক মাস আগে ধান বোঝাই একটি টমটম উল্টে আহত হন এক কৃষক। একইভাবে পা ভেঙে যায় ৩নং ওয়ার্ডের আবুল কালাম নামের আরও এক কৃষকের।


নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. কেফায়েত হোসেন বলেন, পর্যটক একটু কম। রাস্তাঘাট ভালো না তাই পর্যটক এসে কষ্ট পাচ্ছে। সেটি যদি ভালো হয় তাহলে অনেক পর্যটক আসবে। নিঝুম দ্বীপে দেখার অনেক কিছু রয়েছে। যেমন চৌধুরী খাল, চর কবিরা, দমার চর, পালকির চর। এছাড়াও সমুদ্র সৈকত, মায়াবী হরিণ ও ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল তো আছেই।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, বর্তমানে পর্যটকদের সংখ্যা এতো বেশি সে তুলনায় আমাদের আবাসন পর্যাপ্ত নয়। সেই সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ চলছে। নিঝুমদ্বীপের প্রধান যে সড়কটি তা প্রতি বছর পরিবেশগত কারণেই বিপর্যস্ত হয়ে যায়। আমরা যদি বরাদ্দ পাই তাহলে সড়কটি সুন্দর করতে পারব। আমাদের ডাকবাংলো আছে, কিছু রিসোর্ট আছে। তবে যদি বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসে তাহলে আবাসন ব্যবস্থার আরও উন্নতি হবে। পর্যটন কর্পোরেশন একটি আবাসন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেটি চলমান রয়েছে।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com