শিরোনাম
বিশ্ব শিক্ষক দিবস: শিক্ষা পুনরুদ্ধারের কেন্দ্রবিন্দুতে শিক্ষক
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২১, ১৯:২৪
বিশ্ব শিক্ষক দিবস: শিক্ষা পুনরুদ্ধারের কেন্দ্রবিন্দুতে শিক্ষক
প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দীন মিতুল
প্রিন্ট অ-অ+

আমার শত জনমের অহংকার আমি শিক্ষক। আমি শ্রেষ্ঠ সবার। আমি দারুণ আত্মঅহংকারী। কারণ আমি সত্য। আমি ভুল শেখাতে জানি না। ভুল শিখতেও পারি না। আমি পথের দিশারী। আমি জ্ঞানের কথা বলি, ধংসের নয়। আমি বহু উঁচুতে থেকেও তোমায় পথ দেখাতে সদা নিচু হয়ে চলি। সমাজ, রাষ্ট্রজাতি সবকিছুই আমার সৃষ্টি। তাকিয়ে দেখো, তোমার যে ওই পাকা মসনদ, তাও তো আমারই বদৌলতে। এমন শিক্ষা না পেলে কী করে আগলাতে ওই সিংহাসন?


দেশ, কাল, পাত্র আমার মর্যাদার প্রশ্নে আপসহীন। আমি শিক্ষক। কারণ যা কিছু তোমার অর্জন, সেতো আমি শিখিয়েছি। তাই, যে যা বলে বলুক। আমার কিচ্ছু যায়-আসে না। আমি শিক্ষক। আমিতো আর নষ্ট হয়ে যাওয়া আদর্শ নই যে তুমি আমায় অশ্রদ্ধা করবে। আমিতো আর দু'একটি ভিন্ন উদাহরণ নই যে তুমি সমস্ত শিক্ষকের চরিত্র হনন করবে? আমি শিক্ষক যে রোজ প্রত্যুষে শিক্ষা দিই ‘সদা সত্য কথা বলবে। লম্ফ দিয়ে পথ চলবে না। গুরুজনকে ভক্তি করবে।’ দিন শেষে এ শিক্ষা আমলে নিয়ে তুমি হয় হয়েছো মহান, না হয় করেছো নষ্টামি। আমার তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। কারণ আমি আজো তোমায় সেই একই বাক্য দান করেই যাচ্ছি। নিজের অবস্থান থেকে টলিনি এতটুকু। কারণ আমি শিক্ষক। তুমি বখে গেছো শুনে বুকের ভেতরটায় দারুণ অস্বস্তি লাগে। ঘুমোতে দেয় না। ভালো লাগে না। কারণ আমি শিক্ষক। দায়ভার আমি ছাড়া আর কে নেবে তোমার? বিশ্ব শিক্ষা দিবসে এমনটাই আমার অভিব্যক্তি। বিশ্বের সকল শিক্ষককে জানাই শুভেচ্ছা।


শিক্ষক সম্পর্কে এ পি জে আবদুল কালাম মনে করেন, একটি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে তিনজন সামাজিক সদস্য দরকার পড়ে। তারা হলেন বাবা, মা এবং শিক্ষক। অ্যারিস্টটল বলেন- ‘যাঁরা শিশুদের শিক্ষাদানে ব্রতী তাঁরা অবিভাবকদের থেকেও অধিক সম্মাননীয়। পিতামাতা আমাদের জীবনদান করেন ঠিকই। শিক্ষকরা সেই জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করেন।’


ইসলামের দৃষ্টিতে শিক্ষকতা অতি সম্মানিত ও মহান পেশা হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। যুগে যুগে, কালে কালে স্মরণীয়, নমস্য ব্যক্তিরা তাদের শিক্ষকদের প্রতি সবিনীত শ্রদ্ধাশীল থেকেছেন। ইমাম আযম আবু হানিফা (রাহ.) শিক্ষকের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমার শিক্ষক ইমাম হাম্মাদ (রাহ.) যত দিন বেঁচেছিলেন, তত দিন আমি তার বাড়ির দিকে পা মেলে বসিনি। আমার মনে হতো, এতে যদি শিক্ষকের প্রতি আমার অসম্মান হয়ে যায়’।


শিক্ষকদেরকে দ্বিতীয় জন্মদাতার সঙ্গে তুলনা করে শাহ মুহম্মদ সগীর লিখেছেন, ‘ওস্তাদে প্রণাম করো পিতা হন্তে বাড়, দোসর জনম দিলা তিঁহ সে আহ্মার।’ কবি কাজী কাদের নেওয়াজের কবিতা পড়েছি ছেলেবেলায়। ‘শিক্ষকের মর্যাদা’ নামক কবিতা শিক্ষকের মর্যাদা দেবার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। শিক্ষকের প্রতি বাদশাহ আলমগীরের অপরিসীম শ্রদ্ধার প্রতিফলন ঘটেছে কবিতায়। একদিন বাদশাহ দেখলেন তার সন্তান শিক্ষকের চরণে শুধু পানি ঢেলে দিচ্ছেন। এটা দেখে বাদশাহ শিক্ষককে ডেকে পাঠালেন। শিক্ষক ভয়ে অস্থির, বাদশাহর ছেলেকে দিয়ে চরণে পানি ঢালার সেবা নিয়েছেন। গর্দান বুঝি যায় এবার। চরণে শুধু পানি ঢেলে দিচ্ছে, হাত দিয়ে কেন পা ধুয়ে দিচ্ছে না, তা সন্তানের শিক্ষার মধ্যে আনা উচিত ছিল; এটা বোঝানোর জন্যই তিনি শিক্ষককে ডেকেছিলেন। শিক্ষকের প্রতি সন্তানের এটুকু অবহেলাও মেনে নিতে পারেননি বাদশাহ আলমগীর।


হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষকদের যথেষ্ট সম্মানের চোখে দেখতেন। শিক্ষা ও শিক্ষকের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অগাধ শ্রদ্ধার কথা বলতে গিয়ে অধ্যাপক আবুল ফজল বলেন, ইত্তেফাক পত্রিকায় ‘শক্ত কেন্দ্র কেন ও কার জন্য’ শিরোনামে প্রবন্ধ প্রকাশিত হলে বঙ্গবন্ধু অভিনন্দন জানিয়ে তাকে পত্র লিখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পত্রের জবাবে অধ্যাপক আবুল ফজল যে পত্র লিখেছিলেন তার উত্তরে বঙ্গবন্ধু লিখেছিলেন, ‘আপনার মতো জ্ঞানী, গুণী ও দেশপ্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে পারলে খুবই আনন্দিত হতাম। আবার যখন চট্টগ্রামে যাব, সাহিত্য নিকেতনে যেয়ে নিশ্চয়ই আপনার সঙ্গে দেখা করব’। শিক্ষকদের প্রতি এরুপ ছিল জাতির পিতার শ্রদ্ধাবোধ।


শিক্ষকের মর্যাদার এমন হাজারো উদাহরণ আছে। এত দূরে যাওয়ার দরকার কী? কিছুদিন আগে একটি কাজে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে গিয়েছিলাম। করোনা অতিমারীর কারণে সরাসরি সাক্ষাতে শত ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বর্তমান চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাক্ষাৎ পাই। তাঁর একটি বাক্য যেন মস্তিস্কে গেঁথে গেছে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বললেন, ‘দেখুন প্রফেসর, আমি সরকারি আমলা। চাকরি থেকে অবসরে গেলে আমার খবর কেউ নিতে আসবে না। কিন্তু আপনি শিক্ষক। বেঁচে থাকতে আপনার যেমন দোয়া করা মানুষের অভাব হয়নি; মরে গেলেও বহু বছর ধরে আপনাকে দোয়া করার মানুষ রয়ে যাবে। কারণ আপনি জ্ঞান বিতরণ করে তাদের ভাগ্য বদলে দিয়েছেন’। কথা সত্য। তবে আসলে কি সবক্ষেত্রে এমন হয়?


শিক্ষকদের একটি শ্রেণির নানান কর্ম ও দায়িত্বহীনতার কারণে এখন আর শিক্ষকদের সেই আগের সম্মানের আসন অনেকটাই নিচু হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক এক জরিপেও এমন তথ্য উঠে এসেছে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইকোনোমিক্স অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ এবং ভারকি ফাউন্ডেশনের ‘গ্লোবাল টিসার্চ স্ট্যাটাস ইনডেক্স-২০১৮’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয় বিশ্বে গড়ে ৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষকদের সম্মান করে না। এছাড়া শিক্ষকতা পেশাও সামাজিক অবস্থান ও মর্যাদা হারাচ্ছে অনেক উন্নত দেশে।


এমন প্রেক্ষাপটে বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষকদের সম্মানার্থে পালিত একটি বিশেষ দিন। বিশ্ব শিক্ষক সম্প্রদায়ের ক্রমাগত প্রচেষ্টায় এবং ইউনেস্কো-আইএলও এর সদিচ্ছায় ১৯৬৬ সালের ৫ অক্টোবর প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ আন্তঃরাষ্ট্রীয় সরকার সম্মেলন। এই সম্মেলনে ইউনেস্কা-আইএলও সুপারিশ ১৯৬৬ প্রণীত হয়। এই সুপারিশ হলো শিক্ষকদের অধিকার, কর্তব্য ও মর্যাদার সুপারিশ। ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর ইউনেস্কোর ২৬তম অধিবেশনে সংস্থার তৎকালীন মহাপরিচালক ফ্রেডারিক এম. মেয়র ‘এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল’ এর অনুরোধে ৫ অক্টোবরকে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেন। ‘এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল হলো বেলজিয়ামভিত্তিক একটি শিক্ষাবিষয়ক সংস্থা। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এ বছর বিশ্ব শিক্ষক দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, “শিক্ষা পুনরুদ্ধারের কেন্দ্রবিন্দুতে শিক্ষক”।


কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য অনেক উন্নত দেশে পেশা হিসেবে শিক্ষকতা এখন আর মেধাবী তরুণদের আকর্ষণ করে না। উন্নত বিশ্বে পেশা হিসেবে শিক্ষকতা আর অগ্রাধিকার তালিকায় নেই। যুক্তরাষ্ট্রে ৪১ শতাংশ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক পেশায় যোগদানের পাঁচ বছরের মধ্যে পেশা ত্যাগ করেন বলে ইউনেস্কোর বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০১৯ উপলক্ষে প্রকাশিত ধারণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।


শিক্ষক হিসাবে ডেভিড হেয়ার কিংবা ডিরোজিওর যে খ্যাতি তা এখন অনেকটা ইতিহাসের পাতায়ই শোভা পায়। শিক্ষকসমাজের মর্যাদা ক্রমাগত কমছে। অথচ এমন অতিমারী করোনার মধ্যেও শিক্ষকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে গেছেন। নিজের মেধা মনন দিয়ে তৈরী করে গেছেন একের পর এক ভিডিও লেকচার। শ্রেনীকক্ষে পড়াতে অভ্যস্ত একজন শিক্ষক সহসাই অন-লাইনে ভিডিও লেকচার প্রদানে কতটা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন? আমরা কি তাঁর হদিস রেখেছি? কত শত বাঁধা তাকে মোকাবেলা করতে হয়েছে? আমরা কেউ তা মনেও করিনা। নানান রকমের প্রযুক্তি সীমাবদ্ধতার মধ্যে বসবাস করে এই করোনাকালীন জীবন বাজি রেখে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে একজন শিক্ষক যে ভিডিও লেকচারটি তৈরী ও উপস্থাপনা করছেন তার সেই লেকচারটি তৈরির পিছনে কি পরিমান শ্রম, মেধা এবং সময় ব্যয় করতে হয়েছে আমরা কি কখনো তা উপলিব্ধিতে নিই? প্যাডাগোজি তৈরি কালে প্রতিটি শিক্ষার্থী তার চোখের সামনে ভেসে উঠে। কতটা সহজবোধ্য করে ক্লাসের সবচেয়ে দুর্বল শিক্ষার্থীটিকে বুঝানো যায় সে চেষ্টায় তাকে সজাগ থাকতেহ হয়েছে সর্বদা। কখনো কখনো আবার নিজের ছোট্ট থাকার ঘরটিকে বানিয়ে ফেলতে হয়েছে পুরো স্টুডিও।


লেকচারটি ফুটিয়ে তোলার প্রয়াসে তাকে জোগাড় করতে হয়েছে ল্যাপটপ, কিনতে হয়েছে ব্যান্ডউইথ, শব্দ ভালো শোনাতে সংগ্রহ করতে হয়েছে উন্নতমানের মাইক্রোফোন, শিখতে হয়েছে অন-লাইনে লেকচার প্রদানের প্রটোকল, ভালো করে কব্জা করতে হয়েছে জুম কিংবা গুগুল ক্লাস সফটওয়্যারটির নানা খুঁটিনাটি বিষয়। চুড়ান্ত রেকর্ডিং এর পূর্বে নিতে হয়েছে একাধিক বার প্রস্তুতি। কখনো কখনো হয়তো ভিডিও রেকর্ডিং এর কাজে সহায়তা নিতে হয়েছে হোম-কোয়ারেন্টিনে থাকা ক্ষুদে আইসিটি মাস্টার হিসেবে খ্যাত পরিবারের আদরের সন্তানটির।


মোদ্দা কথা, করোনাকালীন অন-লাইনে প্রতিটি লেকচারের ভিডিও ধারণের পূর্বে একজন শিক্ষকের যে পরিমান আবেগ অনুভূতি ও অভিব্যক্তির উদয় হয় তার মূল্য অনেক। আমরা যেনো শিক্ষকের সেই পবিত্র আবেগকে মূল্য দিই। সময় নিয়ে তাদের আবেগমিশ্রিত এই লেকচারগুলো যেনো অনুসরন করি। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করতে চাই, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাকালীন তার অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষকদের সহায়তায় মোট ১৩ হাজার ৫ শত ভিডিও লেকচার তৈরী করে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে যা খুলে দিয়েছে অন-লাইনে উচ্চ-শিক্ষার নতুন সম্ভাবনার দ্বার।


শিক্ষক দিবসে তাইতো বলি আত্মত্যাগের মধ্যেই হলো একজন শিক্ষকের জীবনের সবচেয়ে বড় স্বার্থকতা। শিক্ষকতার চেয়ে মহান পেশা আর নেই। প্রকৃত শিক্ষকদের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স লাগে না। সম্মান কেউ এমনি এমনি দেয় না, বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্মান অর্জন করতে হয়।


অনেকেই শিক্ষকদের রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার অধঃপতনের কারণ বলে মনে করেন। এটি ক্ষতি করে বটে তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবনতির মূল কারণ নয় এটি। সমস্যা হলো বাজেট এবং একাডেমিক পরিকল্পনার অভাব। যথাযথ গবেষণার অভাব। শিক্ষকদের একটি অংশ যেমন অর্থের পিছনে ছুটছেন, তেমনি জড়িয়ে পড়ছেন দলবাজিসহ নানা অশিক্ষকসুলভ কর্মকান্ডে। নীতি-নৈতিকতা-আদর্শ এখানে অনেকটা গৌণ হয়ে পড়েছে। মুখ্য হয়ে উঠছে ব্যক্তিগত লাভ লোকসানের বিষয়টি। তবে এর দ্বায়ভার কোনোভাবেই শিক্ষকদের একার নয়। রাষ্ট্রকেও এর দায়িত্ব নিতে হবে। যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতি থেকে শুরু করে শিক্ষার সকল স্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে না পারলে শিক্ষা ব্যবস্থার শেষ রক্ষা হবে না। কথায় বলে, নগর পুড়িলে দেবালয় রক্ষা পাইবে কীভাবে?


লেখক: ডিন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
Email: [email protected]


বিবার্তা/আরকে

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com