‘বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে’
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৬
‘বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, মানুষের অস্তিত্ব সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।


১৭ ফেব্রুয়ারি, শনিবার জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে ‘দ্য আনঅ্যাভয়েডেবল মাস্টার রিস্ক? অ্যাড্রেসিং ক্লাইমেট ওভারশুট’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।


মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।


মন্ত্রী বলেন, যদি ২০২৫ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শীর্ষে পৌঁছায়, ২০৩০ সালের মধ্যে অর্ধেক হয়ে যায় এবং ২০৫০ সালের মধ্যে আমরা ‘নেট জিরো’ অর্জন করতে পারি, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এখনও এড়ানো যাবে এবং আমরা তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করতে পারব।


তবে এর জন্য দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।


সাবের চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিদ্যমান সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে, যা জাতীয় শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করছে।


তিনি বাংলাদেশের জন্য প্রধান হুমকি হিসেবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে খরা বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করেন।


মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইতোমধ্যেই আরও ঘনঘন এবং চরম আবহাওয়াগত ঘটনা ঘটছে, যা লোকজনকে তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ হওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।


সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৩৩ লাখ বাংলাদেশি (জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের পুরো জনসংখ্যার সমান) জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উচ্ছেদ হবে, যা এটিকে দেশের অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের নম্বর এক চালক শক্তি করে তুলবে।


পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে সহায়তা করার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা করতে হবে।


মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের কার্বন ডাই-অক্সাইড অপসারণ এবং সৌর বিকিরণ পরিবর্তনের মতো অপরীক্ষিত প্রযুক্তির দিকে তাড়াহুড়ো করা উচিত নয় এবং এর পরিবর্তে আমাদের প্রশমন, প্রকৃতি ভিত্তিক সমাধান, বনায়ন ইত্যাদি কাজের ওপর গুরুত্বারোপ করা উচিত।


প্যানেল আলোচনায় কোস্টারিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং জলবায়ু ওভারশুট কমিশনের কমিশনার কার্লোস আলভারাডো কুয়েসাদা, পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার এবং ইউরোপীয় সবুজ চুক্তির জন্য ইউরোপীয় কমিশনের নির্বাহী ভাইস-প্রেসিডেন্ট মারোস শেফকোভিচ উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com