‘সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র’
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ১৩:২৫
‘সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেছেন, সংবাদমাধ্যম বা গণমাধ্যম একটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা করা এ চতুর্থ স্তম্ভকে ভেঙে দেওয়া ও গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র।


‘সচেতন নারী সাংবাদিক সমাজ’ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।



সাম্প্রতিক সময়ে আন্দোলন কর্মসূচির নামে দায়িত্বরত সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের ঘটনার প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ৩ নভেম্বর, শুক্রবার বেলা ১১টায় সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন নারী সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।


মানববন্ধনে ফরিদা ইয়াসমিন আরও বলেন এখনও নানাভাবে ঘাপটি মেরে আছে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা। গত ২৮ অক্টোবর পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর যে হামলা হয়েছে, আমরা তার প্রতিবাদে আজকে সচেতন নারী সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে দাঁড়িয়েছি।


২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা জানি না এ হামলা করা ঘটিয়েছে, কে করেছে, কার মদদে ঘটেছে। কিন্তু সেদিন বিএনপি-জামায়েতের কর্মসূচির দিনে এ হামলা হয়েছে। তাই এর দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকেই নিতে হবে।


সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, কারা এ হামলা ঘটিয়েছে তা এতদিনেও আপনারা খুঁজে বের করতে পারেননি। টেলিভিশনের ফুটেজ দেখে এ হামলাকারীদের চিহ্নিত করুন এবং শাস্তির আওতায় আনুন। কারণ সংবাদকর্মীরা কোনো দলের হয়ে কাজ করে না, জনগণের জন্য কাজ করুন। সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ কর্ম পরিবেশ তৈরি করুন৷ প্রয়োজনে যত কঠোর হতে হয়, সে কঠোর ব্যবস্থা নিন।



মানববন্ধনে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, এ বিএনপি-জামায়াতের আগেও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছিল। জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢুকে জাতীয় প্রেসক্লাবের মর্যাদা তারা লঙ্ঘন করেছিল। বিএনপি যে সাংবাদিক বান্ধব নয়, সাংবাদিকদের সঙ্গে তাদের বৈরিতা সেটি ২৮ অক্টোবর আবার প্রমাণ হয়ে গেছে।


বিএনপি-জামায়াতের ইতিবাচক সংবাদ বর্জনের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তাদের সংবাদ সম্মেলন বর্জন করতে হবে। মাঠে ঘাটে তাদের বিভিন্ন অপকর্ম তুলে ধরতে হবে। সময় এসেছে তাদের বর্জন করার৷ তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর, প্রতিহত করার, তাদের মুখোশ উন্মোচন করে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার।


জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, গত ২৮ অক্টোবর যে হামলা হয়েছে, সেটি নজিরবিহীন। এরই মধ্যে সে হামলা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে। সেই বিভ্রান্তি থেকে জাতিসংঘ পর্যন্ত রক্ষা পায়নি। এটি একটি পরিকল্পিত হামলা ছিল। কিন্তু এখন বিএনপি ও এর মিত্ররা এটি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। এজন্য আমাদের এ প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে, চালিয়ে যেতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত এরা বিচারের কাঠগড়ায় না দাঁড়ায়।



তিনি আরও বলেন, আমরা তিনটি দাবি জানিয়েছি। প্রথমত, সাংবাদিকদের ওপর কারা হামলা চালিয়েছে, টেলিভিশনের ফুটেজ দেখে সেটি চিহ্নিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, সাংবাদিকদের ওপর হামলার জন্য বিএনপিকে ক্ষমা চাইতে হবে। তৃতীয়ত, যেসব সাংবাদিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।


ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, সরকারকে যেমন সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ কর্ম পরিবেশ তৈরি করতে হবে, তেমনি সংবাদমাধ্যমের অফিস থেকেও মাঠে কাজ করা সংবাদ কর্মীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের সুরক্ষা সরঞ্জাম দিতে হবে।



সাংবাদিকদের অন্যতম সংগঠক লাবণ্য ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতা মানষ ঘোষ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) দপ্তর সম্পাদক সেবিকা রানী, নির্বাহী পরিষদের সদস্য কামরুন নাহার, বিএফইউজের সহ-সভাপতি আফরোজা, ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, শাহনাজ ও নাসিমা আক্তার সোমা সিনিয়র সাংবাদিক আঙ্গুর নাহার মন্টি, শামীমা দোলা, ঝর্ণা মনি, রওশন ঝুনু, সুমি খান, শরীফা বুলবুল, আইপি টিভি ওনার্স ফোরামের মুখপাত্র এফ এম শাহীন।


বিবার্তা/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com