হাসপাতালের বারান্দায় দুই নারীর সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৩:৪০
হাসপাতালের বারান্দায় দুই নারীর সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু
সিলেট প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লেবার ওয়ার্ডের বারান্দায় সন্তান প্রসব করেছেন দুই নারী। পরে তাদের মধ্যে একটি নবজাতকের মৃত্যু হয়।


বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।


প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাটিবহর গ্রামের সাহিন মিয়ার স্ত্রী সুমি বেগম (১৯) এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রামপাশা গ্রামের রতন চন্দ্র দাসের স্ত্রী সুপ্রিতা রানী দাসকে (২৫) স্বজনরা দুপুর ২টার দিকে ওসমানী হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে নিয়ে যান। ওয়ার্ডে শয্যা সংকট থাকায় তাদের বারান্দায় বসিয়ে রাখা হয়।


বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রসব বেদনা উঠলে বারবার জানানো হলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সদের পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ তাদের স্বজনদের। পরে সুমি বেগম বারান্দায় সন্তান প্রসব করেন। এর ১০ মিনিট পর সুপ্রিতা রানী দাসও বারান্দাতেই সন্তান প্রসব করেন। এ সময় সেখানে থাকা রোগীদের স্বজনরা তাদের পরণের কাপড় দিয়ে প্রসূতির আশপাশ ঘেরাও করে সহযোগিতা করেন। প্রসবের কিছুক্ষণ পর এক নারী চিকিৎসক এসে তাদের ওয়ার্ডের ভেতরে নিয়ে যান। পরে সুমি বেগমের নবজাতকটি মারা যায়।


ঘটনার সময় ওয়ার্ডে সেবা নিতে আসা স্থানীয় সাংবাদিক হিলাল উদ্দিন শিপু ও নিজাম উদ্দিন টিপু তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে হাসপাতালের নার্সদের রূঢ় আচরণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন তারা।


বিষয়টি নিয়ে নিজাম উদ্দিন টিপু বলেন, হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডের বাইরে থাকা দুই প্রসুতির প্রসব বেদনা উঠলে বারবার জানানো হয় সেখানে কর্মরত ডাক্তার ও নার্সদের। কিন্তু তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। সেখানে প্রথমে একজন নারী বাচ্চা প্রসব করেন এরপর আরও এক নারী বাচ্চা প্রসব করেন। তখন সেখানে থাকা এক নারী তার পরণের শাড়ি দিয়ে প্রসূতির চারপাশ ঘেরাও করে তাকে সাহায্য করেন। এর প্রায় ১৫ মিনিট পর ডাক্তার ও নার্স এসে তাদের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান।


সুমি বেগম বলেন, হাসপাতালে আসার পর আমাকে দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। তার বাবা আজাদ মিয়া এ ঘটনায় ওসমানী হাসপাতাল ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আজাদ মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।


হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, অনেক সময় ডেলিভারির রোগী বেশি থাকলে পর্যায়ক্রমে নেওয়া হয়। এ কারণে বিলম্ব হতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


বিবার্তা/এমবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com