
সাইফ হাসান বাদে ব্যাটিংয়ে বাকি সবাই দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করেছে। তবে কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাই বাংলাদেশও দলীয় সংগ্রহ বড় পায়নি। তবে শেষ পর্যন্ত যে ২১৩ রানের সংগ্রহ পেয়েছে তার কৃতিত্ব রিশাদ হোসেনের।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ৩৯ রানের ছোট্ট এক ঝড় তুললেন রিশাদ। ২৭৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি তার প্রমাণ। ইনিংসে ৩ ছক্কার বিপরীতে চার মেরেছেন ৩টি। এর আগে প্রথম ম্যাচেও ১৩ বলে ২৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন।
পরে বল হাতে রেকর্ড ৬ উইকেট নিয়ে সেদিন ম্যাচসেরাও হন এই লেগস্পিনার।
বাংলাদেশের শুরুর ব্যাটিং দেখেই বোঝা যাচ্ছিল ইনিংস বড় হবে না। সঙ্গে স্পিন সহায়ক উইকেটের কারসাজি তো ছিলই। ইনিংস শুরু করতে নেমে ৬৮ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
অন্যরা যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে তখন অন্য আগলে রাখেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ফিফটি করে মাঠ ছাড়তে পারেননি। পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ৪৫ রানে আউট হন বাঁহাতি ওপেনার। আউট হওয়ার আগে ৩ চারের বিপরীতে ১ ছক্কা হাঁকান।
তখন দলীয় স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১০৩।
দলের দুই শ করা নিয়ে তাই শঙ্কা তৈরি হয়। তবে অষ্টম উইকেটে সব শঙ্কা দূর করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ। ছয়ে নেমে অ্যাঙ্করের ভূমিকা পালন করা অধিনায়ক মিরাজের সঙ্গে দলীয় সর্বোচ্চ ৫০ রানের জুটি গড়েন রিশাদ। বিধ্বংসী জুটি গড়তে বল খেলেছেন মাত্র ২৪টি। রিশাদের ৩৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের বিপরীতে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। প্রতিপক্ষের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন গুদাকেশ মোতি।
স্পিন সহায়ক উইকেট হওয়ায় আজ রেকর্ড গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথমবারের মতো ওয়ানডের ইতিহাসে ৫০ ওভারই করেছে কোনো দলের স্পিনাররা। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৪৪ ওভারের। ১৯৯৬ সালে সেই রেকর্ড গড়েছিল শ্রীলঙ্কা। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো মিরপুরের শুরুর ১০ ওভার করেছে স্পিনাররা।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]