
মুখোমুখি চারবারের দেখায় হংকং চায়নার বিপক্ষে কখনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। সেই অপেক্ষা ফুরানোর লক্ষ্যে আজ ঘরের মাঠ জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ।
শুরুটাও দুর্দান্ত পেয়েছিল। ম্যাচের ১৩ মিনিটে বাংলাদেশ লিড পাওয়ায়।
তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। তাতে ১-১ গোলের সমতায় বিরতিতে যায় দুই দল।
ফুটবলে ‘সোনার হরিণ খ্যাত’ গোলটি বাংলাদেশকে এনে দেন দলের মধ্যমণি হামজা চৌধুরি। বাঁ প্রান্তে ফ্রি কিক পেলে তা থেকে বুলেটগতির শট নেন মিডফিল্ডার হামজা।
হংকংয়ের গোলরক্ষকের সরাসরি গেলে তার সামনে সতীর্থ থাকায় ঠিকমতো বলের নাগাল পাননি তিনি।
তাতে হামজার শট জালে খুঁজে নিতেই উচ্ছ্বাসে ভাসে পুরো গ্যালারি। এমন আনন্দ করতেই তো ম্যাচ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই স্টেডিয়ামে হাজারো দর্শক-সমর্থকদের ঢল নামে। গ্যালারিতে বসে হামজা-মিতুল মারমাদের জন্য গলা ফাটাতে থাকেন চিৎকার করে।
সমর্থকদের সেই প্রতিদান দিয়েছেন হামজা।
ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না বাংলাদেশের। প্রথম কয়েক মিনিট বল ছিল হংকংয়ের আধিপত্যে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আর গোলের পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। পরে আর কোনো গোল দিতে না পারলেও বেশ কয়েকটি আক্রমণ সাজিয়েছিল বাংলাদেশ।
সে সব অবশ্য গোল পাওয়ার মতো ছিল না।
অন্যদিকে গোল হজম করে শোধ দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে হংকং। আক্রমণ সাজালেও ফাইনাল থার্ডে গিয়ে খেই হারাচ্ছিল তারা। তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে ঠিকই সমতাসূচক গোল পায় তারা। কর্নার কিকটি ঠিকমতো বাংলাদেশ ক্লিয়ার করতে না পারলে সুযোগ পেয়ে তা হাতছাড়া করেননি এভারটন কামারগো। এর আগে ৪১ মিনিটে আরেকটি গোল পেয়েছিল হংকং। অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল হয়েছিল।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]