
আজ সকালে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল যোগাযোগের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
মুন্সিগঞ্জের মাওয়া রেলস্টেশনে নাগরিক সমাবেশে ডিজিটল রেল সার্ভিসের উদ্ধোধনের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "ট্রেনে পদ্মা সেতু অতিক্রম করার স্বপ্ন আজ পূরণ হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়েকে আন্ত:এশীয় রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্য আমাদের রয়েছে"।
নতুন রেল ট্র্যাকের ৮২ কিলোমিটার অংশ আজ খুলে দেওয়া হয় যা ঢাকা ও ভাঙ্গাকে সংযুক্ত করেছে। যশোরকে সংযোগকারী অবশিষ্ট অংশ আগামী বছরের জুনে চালু হবে।
কন্টেইনার বহনের জন্য গতি এবং লোড সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত এই রুটটি ঢাকা-যশোর-খুলনাকে ২১২.০৫ কিলোমিটার সংক্ষিপ্ত রুট দিয়ে বিকল্প রেলপথ সংযোগ স্থাপন করার মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর তিন জেলায় নতুন করে যুক্ত হলো রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা।
রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকায় একটা সময় খুলনা অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় না এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতো। কারণ ঢাকায় আসতে হতো নদীপথ পাড়ি দিয়ে। ১৯৯৮ সালে এই রেলপথ বন্ধ করে দেওয়ার পর দীর্ঘকাল এই অঞ্চলের মানুষ ছিল নদী-সড়কপথের মিশ্র যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল।
২০০ কিলোমিটার রাস্তা ভ্রমণের জন্য ১৫-২০ ঘন্টা সময় আমরা ভুলে যাইনি, আমরা ভুলে যাইনি উত্তাল পদ্মায় প্রতিবছর নিহত হওয়া হাজার খানেক মানুষকে। প্রিয়জনের মুখ শেষবার দেখার অপেক্ষায় দীর্ঘ ফেরির লাইন আমাদের মনে থাকবে, আমাদের মনে থাকবে সড়কে দীর্ঘ যানজট।
সবকিছু ছাপিয়ে আমাদের সবসময় মনে থাকবে আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
জয়তু দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
(ফেসবুক থেকে নেয়া)
লেখক: তানভীর হাসান সৈকত, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]