
আমি আগে বাম রাজনীতি করতাম- সেটা স্বীকারে আমার কোনদিন কোন দ্বিধা নাই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা বিষয়ে কোন বিদ্বেষ ছিল না। মিথ্যাচার, ভণ্ডামি আর নেতাদের ব্যক্তিগত দ্বিচারিতার কারণে দল ছাড়ার পর তীব্র রাজনৈতিক হতাশায় পড়েছিলাম। ভিন্ন বামদল থেকে অফার এলেও আমি আগাইনি, কারণ ওদের উপর তো আগেই বিশ্বাস ছিল না। ধীরে ধীরে স্থায়ী হবার রাস্তা খুঁজতে লাগলাম।
রক্তে রাজনীতি থাকলে নিজেকে আলাদা রাখা যায় না। আমার রক্তে বাংলাদেশ। চেতনায় বাংলাদেশ। চিন্তায় বাংলাদেশ। আর সেই জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আগ্রহী হলাম। শেখ হাসিনাকে অবজারভেশনে নিয়ে নিজেকে সবকিছু থেকে আলাদা রেখেই চলছিলাম।
এলো ২০১৩ সাল। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আজীবন লালিত স্বপ্নকে বাস্তব করলেন শেখ হাসিনা। মনের কোণে আশারা ধীরপায়ে এগোতে শুরু করল। দেশ নিয়ে হতাশার মাঝেই মনে হলো কেউ তো আমাদের কথা শুনলেন। তারপরের ইতিহাস কেবল এগিয়ে যাওয়ার গল্প- আর সেই গল্পের আঁকিয়ে শেখ হাসিনা।
মাথা নীচু করে চলা একটি দেশ কেমন করে মেরুদণ্ড সোজা করে আমেরিকার মত দেশের চোখে চোখ রেখে উত্তর দিচ্ছে- সেই ইতিহাসেরও অংশ হলাম জীবদ্দশায়।
আমি কেবল চেয়েছিলাম আমার দেশকে ভালোবাসবে এমন একজন নেতাই হবে আমার নেতা। এমন একজন আসবেন যিনি দেশ নিয়ে আমার মাঝে লুকিয়ে থাকা কষ্টটাকে অনুধাবন করবেন। এমন একজন হবেন আমার কাণ্ডারী- যিনি বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ যে ভারতের অংশ নয় সেই পরিচয়কে আলাদা করে চিনাবেন।
অবশেষে তিনি হতে পেরেছেন আমার নেতা। অনেকেই ভাবেন আমি দালালি করে কী কী পেয়েছি। উত্তর হচ্ছে আমি বাংলাদেশের দালাল, তাই যিনিই এই দেশটাকে ধারণ করবেন আমি তারই দালাল। আপাতত শেখ হাসিনা ছাড়া এই জায়গায় আর কোন বিকল্প নেই- তাই আমি শেখ হাসিনার দালাল। আমি আওয়ামী লীগের দালাল নই- তাই আমার বৈষয়িক প্রাপ্তি জিরো। সেটা চাইলে যে পেতাম না তা নয়। কিন্তু সেই রাস্তা আমার নয় বলেই যাইনি।
একজন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যিনি সন্তুষ্টি পান না তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। দৃষ্টিক্ষীণতা রোগে ভুগছে। সমালোচনা প্রচুর আছে তবে সেটা সরকারের, নেতা হিসেবে শেখ হাসিনার নয়। ব্যক্তি থেকে সর্বজনীন সবাই হতে পারে না। তিনি পেরেছেন। তাই আমি হাসিনার দালাল বলতে দ্বিধা করি না।
আজ বাংলাদেশের এক অবিকল্প কাণ্ডারীর জন্মদিনে আমার সকল ভালোবাসা, প্রণাম। শেখ হাসিনার অসহায়ত্ব তাঁর দেশপ্রেম। আমারও অসহায়ত্ব আমি এই দেশটাকে নিয়ে গর্ব করতে চাই।
ব্যর্থতা বা সফলতা যাই বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া আমাকে গর্বিত করতে পারে এমন কেউ এখনও নাই, সামনের বছরগুলাতেও নাই।
শুভ জন্মদিন আমার নেতা। শুভ জন্মদিন আমার গর্ব, আমার বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকেন আপনার মাঝেই।
(ফেসবুক থেকে নেয়া)
লেখক: লীনা পারভীন, অ্যাক্টিভিস্ট।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]