
* আমি ইতোমধ্যে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছি, কথা বলেছি তাদের সঙ্গে। তারা (ব্যবসায়ীরা) ঘোষণা দিলো ১৯০-১৯৫ টাকা , আজ কেন তারা ১৬০ টাকায় বিক্রি করছে? আমাদের প্রান্তিক চাষিদের কিন্তু তাহলে লস দিয়ে বিক্রি করতে হবে যেহেতু ফিডের দাম বেশি। আমাদের ক্ষুদ্র খামারিরা বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হবে। আমরা এই বিষয়টি দেখছি।
* যে মুরগি ফার্ম থেকে চারদিন আগে ২২০-২৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তারা ঘোষণা দিলো ১৯০-১৯৫ টাকা, সেটি আজ তারা ১৬০ টাকায় বিক্রি কীভাবে করে। তাহলে এই ৭০-৮০ টাকার যে গ্যাপ এটি কি তারা জনগণের পকেট থেকে তুলে নিয়ে গেছে?
এই কথাগুলো বলেছেন– জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান।
দেশের এতো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চারটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান দাম কমানোর কথা বলার পরই, হঠাৎ বাজার অস্বভাবিক পড়ে যাওয়াতে স্পস্ট হয়ে ওঠে– বাজার কার নিয়ন্ত্রণে? এদিকে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে–এবারের দামবৃদ্ধিতে ব্রয়লার মুরগি ও বাচ্চা থেকে ৯৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে শীর্ষ কয়েকটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান।
আমরা জানি– খুচরা দোকানি ওজনে কম দিলে অভিযানে সাজা হয়, ব্রয়লারের ক্রয় রশিদ না দেখানোর কারনে আড়ত বন্ধ করে দেয়া হয়– তাহলে এই চার ব্রয়লার মাফিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ দেখতে আমাদের কি অপেক্ষা করতে হবে? নাকি ওই দূবৃত্বদের আইনের আওতায় এনে রাষ্ট্র জনগনের প্রতি এরা যে অন্যায় করেছে– তার উপযুক্ত বিচার করবে? এরা শুধু ক্রেতাদের পকেটই কাটেনি, বাজার অস্থিতিশীল করেছে–এদের কারনে প্রতিনিয়ত লোকাসানে পড়ছেন সাধারন খামারীরা, লাখো খামারিকে এরাই লোকসানে ফেলে নিজেদের পকেট ভারি করেছে।
লেখক : অঞ্জন রায়, সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
( ফেসবূক ওয়াল থেকে)
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]