ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই)' এর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছে।
পাচঁ দিনের মধ্যেই তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় সোমবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় মাছ রফতানি শুরু হয়।
সকাল থেকেই সারিসারি মাছবাহী গাড়ি আগরতলায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বন্দরে অবস্থান নেয়। এতে করে বন্দরে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানিকৃত মাছসহ বিভিন্ন খাদ্য পণ্যের গুণগতমান যাচাই করণে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং জনবল সঙ্কটে কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকায় ভারতীয় ব্যবসায়ীরা মাছ আমদানি করতে অনীহা প্রকাশ করেন।
ফলে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ রফতানি বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে ত্রিপুরা মাছ রফতানি বন্ধ থাকায় রাজ্যে মাছের ব্যাপক চাহিদার সৃষ্টি হয়। যার ফলে ত্রিপুরা সরকারের পক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি লিখেছেন এবং ত্রিপুরা রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা সরাসরি কেন্দ্রীয় ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই)'ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে কথা বলে আখাউড়া আগরতলা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে মাছ আমদানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে আহবান জানান। পরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় সকাল থেকে বাংলাদেশ থেকে মাছ ভারতে রফতানি শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বাজারগুলোতে পাঠানো হয়। প্রতি কেজি মাছের রফতানি মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ডলারের মাছ পূর্বোত্তর ভারতের ত্রিপুরায় রফতানি করা হয়।
বিবার্তা/আকঞ্জি/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]