এক মিনিটের জন্য স্বপ্ন শেষ ২০ বিসিএস পরীক্ষার্থীর
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৩
এক মিনিটের জন্য স্বপ্ন শেষ ২০ বিসিএস পরীক্ষার্থীর
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

শেষ হলো ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। কিন্তু সময়ের মারপ্যাঁচে মাত্র এক মিনিটের জন্য দেশের সবচেয়ে মর্যাদাবান এ চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি ২০ বিসিএস পরীক্ষার্থী।


২৬ এপ্রিল, শুক্রবার ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা কেন্দ্র রাজধানীর তেজগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে।


সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে পরীক্ষা। নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয়। তবে শেষ সময়ে কোনোরকম সতর্কতা না জানিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের মূল ফটক বন্ধ করে দেয়ায় এবার পরীক্ষা দিতে পারেননি ২০ জনের মতো পরীক্ষার্থী। নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট দেরি হওয়ায় গেট আটকে দেয়া হয়।


ভুক্তোভুগী পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, শেষ সময়ে কোনো রকম সতর্ক বার্তা না দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়ায় তারা পরীক্ষা দিতে পারেননি।


পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে অপেক্ষমান ছিলেন। কিন্তু কোনো সতর্কবার্তা না দেয়ায় তারা সময় হয়ে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেননি। ফলে যখন গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তখন দ্রুত গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। অনেক আকুতি-মিনতি করলেও গেট খুলে দেয়া হয়নি। দীর্ঘদিন প্রস্তুতি নেওয়ার পরও বিসিএসের স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ায় হাউমাউ করে কাঁদলেন পরীক্ষার্থীরা। এতেও মন গলেনি কেন্দ্রে থাকা দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের।


কুমিল্লা থেকে ঢাকায় বিসিএস পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন শাউলিনা। ১৫ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হলেও শেষ সময়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকতে পারেননি তিনি।


শাউলিনা বলেন, আমি ৯টা ১৫ মিনিটে এই এলাকায় চলে এসেছি। ঠিক ৯টা ৩১ মিনিটে রাস্তায় গেটের সামনে ছিলাম। সর্বশেষও আমি দেখলাম ঢুকতে দিচ্ছে, তখন আমি সন্তানকে একপাশে বসিয়ে রেখে এসে দেখি গেট বন্ধ করে দিয়েছে।


তিনি বলেন, মূল গেটের দেয়াল টপকিয়ে দ্বিতীয় গেটে এসেছি, কিন্তু এখান থেকেও ঢুকতে দেয়নি। ম্যাজিস্ট্রেটকে বারবার অনুরোধ জানানোর পরও ঢুকতে দেননি।


এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান নূর নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, এটা আমার শেষ বিসিএস। কক্সবাজারে চাকরি করায় সেখান থেকে এসেছিলাম পরীক্ষা দিতে। ঠিক ৯টা ৩১ মিনিটে আমি গেটের সামনে আসলেও তারা ঢুকতে দেয়নি। কোন প্রকার সতর্কতা না দেয়ায় এমন হয়েছে। অনেক মানুষ সেখানে অনুরোধ করেছে, কিন্তু কোনো অনুরোধই শোনা হয়নি।


এ বিষয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং পিএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।


পরে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের নিয়মই ছিল ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা বারবার বলেছি, একটু সময় নিয়ে কেন্দ্রে আসবেন, ৩০ মিনিট আগেই কেন্দ্রে প্রবেশ করবেন। তারপরও যদি কোনো শিক্ষার্থী যথাসময়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে আসতে না পারে, তাহলে আমাদের দৃষ্টিতে সে পরীক্ষার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এখন একজন এক মিনিটের কথা বলবে, আরেকজন দুই মিনিট, পাঁচ মিনিটের কথা বলবে। এভাবে শুনতে থাকলে তো পরীক্ষা নেয়া যাবে না।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com