
নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে ‘মুরতাদ-কাফির’ আখ্যা দেওয়া ফেইসবুক পোস্টটি সমালোচনার মুখে সরিয়ে নিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষক।
বুধবার রাতে নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান।
মাহমুদুল হাসান নতুন ফেইসবুক পোস্টে লেখেন, “আমার পোস্ট দেওয়ার পর থেকে আমি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি, যা আমার পরিবার ও আমার জন্য অনেক ভারি হয়ে যাচ্ছে। আমি ঈমান ভঙ্গের মূলনীতির ওপর বিবৃতিটা দিয়েছিলাম। আমার বক্তব্য ফতওয়ার মতো শোনা গেছে। ফতওয়া দেওয়ার অধিকার আলেমদের, আমার না। তাই, আমি আমার পোস্ট ডিলিট করে দিলাম।”
মঙ্গলবার দুপুরে নিজের ফেইসবুক প্রোফাইলে ‘সাজিদ হাসান’ নামের একটি আইডির পোস্ট শেয়ার দেন খন্দকার মাহমুদুল হাসান। সেখানে তিনি ক্যাপশনে লেখেন, “আজ মুরতাদ কাফির বেগম রোকেয়ার জন্মদিন।”
পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ার পরই সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর সেদিন রাতেই তিনি নিজের ক্যাপশনের ব্যাখ্যা দিয়ে এ সংক্রান্ত দ্বিতীয় একটি পোস্ট দেন।
সেই পোস্টে তিনি লেখেন, “বেগম রোকেয়া আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নাজিলকৃত কিতাব অস্বীকার করেছেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাত অস্বীকার করেছেন, তাঁকে প্রতারক বলেছেন, আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান নিয়ে কটূক্তি করেছেন। এত কিছুর পরে কোনো মানুষের ঈমান থাকতে পারে না। আমার বক্তব্য একটু ফতওয়ার মত মনে হচ্ছে। ফতওয়া দেওয়ার অধিকার আলেমদের, আমার না। এই জায়গায় অনধিকার চর্চা করেছি বলতে পারেন। ঈমান ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে যার মোটামুটি ধারণা আছে, তিনি কখনই এমন কাউকে ঈমানদার বলবেন না।
“কী অদ্ভুত ব্যাপার, একজন মানুষ কিতাব অস্বীকার করল, রিসালাত অস্বীকার করল, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রতারক বলল, তার পক্ষে কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। ভালবাসা কার প্রতি? আল্লাহর রসূলের প্রতি, নাকি তাঁকে (সা.) অস্বীকারকারীর প্রতি?....”
পরে দ্বিতীয় পোস্টটিও তিনি ডিলিট করে দেন।
এ বিষয়ে জানতে খন্দকার মাহমুদুল হাসানের মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]