কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আবাসিক হলগুলোতে ৪০ শতাংশ আসন পাবে প্রথম বর্ষের, ২০ শতাংশ দ্বিতীয় বর্ষের, ১৫ শতাংশ তৃতীয় বর্ষের, ১০ শতাংশ চতুর্থ বর্ষের, ৫ শতাংশ পাবে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ১০ শতাংশ আসন বরাদ্দ থাকবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী, খেলোয়াড় কোটায় ভর্তিকৃত ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য।
৫ নভেম্বর, মঙ্গলবার আবাসিক হলের আসন বণ্টনে গঠিত প্রভোস্ট কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষরিত এক নোটিশ থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
নোটিশে আরো বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে সংযুক্ত নিয়মিত শিক্ষার্থী আবাসিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ যে সকল স্থানে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত পরিবহণ সুবিধা আছে, সে সকল স্থানে স্থায়ীভাবে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের চেয়ে অন্যদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
পিএইচডি, এমফিল বা সমমানের ডিগ্রি, প্রফেশনাল মাস্টার্স, ইভিনিং/উইকেন্ড মাস্টার্স, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের হলে আসন বরাদ্দ করা হবে না।
শিক্ষার্থীকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত নির্ধারিত ফরম প্রিন্ট করে অথবা হল অফিস থেকে ফরম সংগ্রহ করে যথাযথভাবে পূরণের মাধ্যমে হলের আসনের জন্য আবেদন করতে হবে। পূরণকৃত ফরম স্ব-স্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের সুপারিশসহ হল অফিসে জমা দিতে হবে।
আবেদনের সময় শিক্ষার্থীকে বিভাগীয় প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ববর্তী সকল সেমিস্টারের নম্বরপত্রের কপি। ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি পরীক্ষার মেধাস্কোর/ফলাফলের সত্যায়িত কপি। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী, খেলোয়াড় কোটার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সময় প্রদানকৃত প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি। জাতীয় পরিচয়পত্র/ জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি।
নোটিশে আরো বলা হয়, চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে হলসমূহে শিক্ষার্থীদের আনুপাতিক হারে আসন বণ্টন করার ক্ষেত্রে,
১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের বাছাইয়ের জন্য ভর্তি পরীক্ষার ইউনিটভিত্তিক মেধাস্কোরে অবস্থান বিবেচনা করা হবে।
২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ববর্তী সেমিস্টারসমূহের গড় ফলাফল বিবেচনা করা হবে। যেসকল বিভাগে অনার্স/সমমান পর্যায়ে ৫ম বর্ষ আছে সেক্ষেত্রেও পূর্ববর্তী সকল সেমিস্টারের গড় ফলাফল বিবেচনা করা হবে।
পরীক্ষার ফল প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে পরবর্তী বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে গণ্য করা হবে না।
এর আগে, আবাসিক হলের সিট সংক্রান্ত বণ্টন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে গত ২৩ সেপ্টেম্বর একটি প্রভোস্ট কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। এতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জিয়া উদ্দিন এবং সদস্য-সচিব হিসেবে আছেন কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ নাসির হুসেইন।
এছাড়াও কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন প্রক্টর ড. মো. আবদুল হাকিম, নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের প্রাধ্যক্ষ সুমাইয়া আফরীন সানি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান খান, এবং শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোসা. শাহীনুর।
বিবার্তা/প্রসেনজিত/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]