কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্যে গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ অধ্যাপক পদে আবেদনকৃতদের সরকারি বিধি মোতাবেক পরবর্তী সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে আগামী সাত দিনের মধ্যে কার্যকর ও নিয়মিতকরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতি।
২৮ ফেব্রুয়ারি, বুধবার শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান স্বাক্ষরিত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে দেওয়া পত্রে বিষয়টি জানা যায়।
আবেদন পত্র থেকে জানা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্মারকের সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক বিধি মোতাবেক গ্রেড-২ এবং গ্রেড-১ অধ্যাপক পদে আবেদনকৃত পদসমূহে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অবৈধভাবে দুই বছর যাবত নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে। তাছাড়া পদোন্নতি প্রসঙ্গে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
পত্র থেকে আরও জানা যায়, শিক্ষকগণ মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিহিংসাপরায়ণ ও অপেশাদারভাবে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। যা সামগ্রিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও মানবসম্পদ বিনির্মাণের অন্তরায় এবং সরকারের নির্দেশনা অবমাননার শামিল ও রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধও বটে।
মেহেদি হাসান বলেন, ‘অধ্যাপকদের পদোন্নতি এটি একটি প্রচলিত বিধান তাছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এব্যাপারে প্রজ্ঞাপনও আছে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন অবৈধভাবে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রক্রিয়াটি বন্ধ রেখেছে। এর মূল সমস্যা হচ্ছে গ্রেড-১ এবং গ্রেড-২ তে না গেলে পেশাগত মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে তাছাড়া অধ্যাপকদের যে অবস্থান সেটি না পেলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদের জায়গাটা কমে যাচ্ছে।’
এই বিষয়ে উপাচার্যের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিবার্তা/প্রসেনজিত/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]