ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের ফোনালাপ নিয়ে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তারকে প্রধান করে কমিটিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্য হলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে দুই সদস্যের একটা তদন্ত কমিটি করেছে। কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভিকারুননিসায় ভর্তি বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম তদন্তের মধ্যে এক অডিও ক্লিপ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনায় পড়েন অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুল।
৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের ওই অডিওতে নারী কণ্ঠে উত্তেজিত স্বরে পরিচালনা পর্ষদ ও অভিভাবক ফোরামের কাউকে উদ্দেশ করে অনবরত গালাগালি করতে শোনা যায়। এক পর্যায়ে বলতে শোনা যায়, আমি কিন্তু গুলি করা মানুষ। রিভলবার নিয়া ব্যাগের মধ্যে হাঁটা মানুষ। আমার পিস্তল বালিশের নিচে থাকত।
তদন্ত কমিটি করলে ‘দা দিয়ে’ কোপানোর হুমকির কথাও শোনা যায় ওই কণ্ঠে। এক সময়ে ‘রাজনীতি’ করার কথা বলে বলা হয়, আমার ছাত্রলীগ, যুবলীগ আছে, আমার যুব মহিলা লীগ আছে। কামরুন নাহারের দাবি, ‘এডিট’ করে ওই অডিও ক্লিপ তৈরি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এই ‘ষড়যন্ত্র’ করেছে প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক ফোরাম ও পরিচালন পর্ষদ।
অবশ্য ভিকারুননিসার অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপু জানিয়েছেন, ওই ফোনালাপে তার সঙ্গেই অধ্যক্ষ কথা বলেছেন। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা কামরুন নাহার গত বছরের ডিসেম্বরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। তার আগে তিনি ঢাকার মিরপুরের দুয়ারীপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন।
কামরুন নাহার দায়িত্ব নেওয়ার পর ভিকারুননিসায় নানা অনিয়মের অভিযোগ আসায় তা তদন্তে সম্প্রতি একটি কমিটি গঠন করে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
বিবার্তা/বিআর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]