সীমান্ত ঘেষাঁ দিনাজপুরের হিলি রেলওয়ে স্টেশন। আর সেই স্টেশনের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত পার্থেনিয়াম আগাছা। যা মানবদেহ জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

এছাড়াও অন্য ফসলের ফলন কমিয়ে দেয় ব্যাপক হারে বিষাক্ত পার্থেনিয়াম আগাছা।আর এসব বিষাক্ত আগাছা সম্পর্কে অজানা স্থানীয়দের। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, এসব আগাছা পুড়িয়ে দেওয়া হবে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সীমান্তবর্তী দিনাজপুরের হিলি রেলওয়ে স্টেশনের আনাচে কানাচে অবিকল ধনিয়া গাছের মতো দাঁড়িয়ে আছে বিষাক্ত আগাছা পার্থেনিয়াম। যা সম্পর্কে অজানা স্থানীয়দের ফলে এসব বিষাক্ত আগাছার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে চলছে দৈনন্দিন কাজকর্ম।

এছাড়াও তাতে গবাদিপশুর বিচরণ লক্ষণীয়। আর এসব বিষাক্ত আগাছার কারণে মারাত্মক হুমকির মুখে পরিবেশ যার ফলে মানবদেহের নানান রোগ ব্যাধির পাশাপাশি গবাদিপশুও পড়তে পারে মৃত্যুর মুখে।

এত কিছুর পরেও এসব আগাছা দমন না করায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

পার্থেনিয়াম উপমহাদেশে উদ্ভিদ নয়। মেক্সিকো থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশেও ব্যাপকহারে জন্মাচ্ছে পার্থেনিয়াম। হিলির রেলওয়ে স্টেশন ফাঁকা জায়গাগুলোতে বা রাস্তার ধারে বাড়ির আঙ্গিনায়। আয়ুষ্কাল তিন থেকে চার মাস। নীরবে ক্ষতি করলেও তা জানে না বেশিরভাগ মানুষই।

হাকিমপুর দক্ষিণ বাসুদেব মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল টুকু বলেন, বিষাক্ত আগাছা পার্থেনিয়াম গাছটি রেলওয়ে স্টেশনসহ আমাদের বাড়ি ও খামার থেকে এসব বিষাক্ত আগাছা দ্রুত নিধনের দাবি জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগ যদি কৃষকসহ সকল মানুষদের নিয়ে উঠান বৈঠকসহ পরামর্শ দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. আরজেনা বেগম বলেন, পার্থেনিয়াম আগাছা ভয়ংকর। এর সংস্পর্শে মানবদেহে তীব্র জ্বর, বদহজম, ক্যান্সারসহ দেখা দিতে পারে নানা ব্যাধি। মানুষ ও গবাদিপশুরও ঘটতেও পারে মৃত্যু। এসব বিষাক্ত আগাছা পুড়িয়ে ফেলাসহ স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে উঠান বৈঠক করা হবে।

বিবার্তা/রব্বানী/জবা