নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের দেবী গ্রামের বাহারুল ইসলামের স্ত্রী আফসানা খানম (২০) নামে এক নববধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ তার শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে।

পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেছে। এঘটনায় পর থেকে নববধূর স্বামীসহ শ্বশুর,শাশুড়ি বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।

৫ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার দুপুরে দেবী গ্রামের ইদ্রিস শেখের ছেলে বাহারুল ইসলামের স্ত্রী নববধূ আফসানা খানমের মরদেহ তার ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় লোহাগড়া থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে। গত ১৫ দিন আগে দেবী গ্রামের ইদ্রিস শেখের ছেলে বাহারুল ইসলামের সাথে একই ইউনিয়নের শুলটিয়া গ্রামের কোবাদ মোল্যার মেয়ে আফসানা খানমের বিবাহ হয়। তবে যৌতুকের টাকার জন্য হাতের মেহেদীর রং মুছতে না মুছতেই নববধূ আফসান খানমের জীবন দিতে হলো স্বামীসহ শ্বশুর-শাশুড়ির হাতে।

নিহত আফসানার বড় বোন তানিয়া বেগম বলেন, আফসানার মৃত্যু স্বাভাবিক বা আত্মহত্যা নয়, তাকে তার স্বামীসহ শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে।

স্থানীয় লোকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় আফসানার সাথে তার স্বামী ও শাশুড়ি খুব খারাপ আচরণ ও যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করতো। বিয়ের সময় আফসানার পরিবার থেকে ছেলের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দেওয়ার কথা ছিল।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটা জানা যাবে।

বিবার্তা/শরিফুল/জবা