আনসারদের হামলায় নিহত শাহিন হাওলাদারের দাফন সম্পন্ন
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:৫২
আনসারদের হামলায় নিহত শাহিন হাওলাদারের দাফন সম্পন্ন
মোংলা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ছেলে আন্দোলনে, তাই বসে থাকতে পারেননি বাবা। ছেলে ও শিক্ষার্থীদের টানে আন্দোলন গিয়ে শেষমেশ প্রাণ গেলো বাবার। নিহত শহিদ শাহিন হাওলাদারের লাশের জানাজা শেষে তার গ্রামে বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।


৫ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার সকালে মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাজিকরখন্ডে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।


উল্লেখ্য, গত ২৫আগস্ট ঢাকায় সচিবালয় ঘেরাও করে আন্দোলন করে আনসার সদস্যরা। সেখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে যান রাজধানীর কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী হাসান আহমেদ বিশাল। ঘটনার দিন বিকেলে ছেলে বিশাল আন্দোলনে যাওয়ার খবরে বাবা শাহিন হাওলাদার আর ঘরে বসে থাকতে পারেননি। রাতে তিনিও ছুটে যান ওই আন্দোলনে। গিয়ে দেখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর উপর আনসার বাহিনীর হামলা চলছে। তখন তিনি তা ঠেকাতে গেলে তাকেও মারাত্মকভাবে আহত করা হয়। আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হওয়া শাহিন বুধবার (৪সেপ্টেম্বর) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে ওই দিনই তার লাশ নেয়া হয় গ্রামের বাড়ি মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাজিকরখন্ডে। সেখানে বৃহস্পতিবার সকালে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।


বাড়িতে লাশ নেয়ার পর কান্নায় ভারী হয়ে উঠে এলাকা। ছুটে আসেন শতশত মানুষ।


নিহত শহিদ শাহিন হাওলাদারের ভাই শিপন হাওলাদার বলেন, আনসাররা আমার ভাইর মাথায় আঘাত করে। এতে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে ওই দিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মাথায় অস্ত্রপাচারও হয়। তারপর আইসিইউতে থাকার পর মৃত্যু হয় তার।


ছেলে হাসান আহমেদ বিশাল বলেন, আমি ছাত্রদের সাথে আনসার বিরোধী আন্দোলন ছিলাম। সেই খবর শুনে তিনিও ছুটে আসেন। পরে সেখানে এসে বাবা দেখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে মারধর করছে আনসার সদস্যরা। হাসনাত আব্দুল্লাহকে ঠেকাতে গেলে সেখানে তাকেও মারধর করা হয়। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।


স্ত্রী দীপ্তা বেগম বলেন, আনসার সদস্যরা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে, আমি এর বিচার চাই। আর পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য একটি চাকরির দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে।


মা কুলসুম বেগম বলেন, আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের যেন বিচার হয়। আমার ছেলের পরিবার চলবে কীভাবে, সেজন্য একটা চাকরির ব্যবস্থা হলে ভাল হয়।


সরকারের কাছে শহিদি মর্যাদাসহ পরিবারের দাবি অন্তত একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়ার।


বিবার্তা/জাহিদ/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com