
তামাক পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। মানুষের মৃত্যু, অর্থনৈতিক ক্ষতি কমিয়ে আনতে হলে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিতে হবে। তামাকজাত দ্রব্য, তামাক উৎপাদন ও বিক্রয় চেইন, তামাক চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ সরকারের নজরদারির মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। তাহলেই কেবল তামাকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। যা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনকে এগিয়ে নেবে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর রায়ের বাজারে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সম্মেলনকক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট (বাটা), এইড ফাউন্ডেশন, জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) ও গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি সম্মিলিতভাবে এই সভার আয়োজন করে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে এবং তামাক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়কেন্দ্রের লাইসেন্স নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, তামাকজাত দ্রব্যের যত্রতত্র বিক্রয় ও সহজলভ্যতার কারণে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এর ব্যবহার বাড়ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশেপাশে অপ্রাপ্ত বয়স্ক, কিশোর ও যুবকদের আসক্ত করতে তামাকজাতদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো খুচরা বিক্রেতাদের উপহার প্রদানের মাধ্যমে বিক্রয়স্থলে বিজ্ঞাপন প্রসারে উৎসাহিত করছে। একইসঙ্গে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তামাক কোম্পানির ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়কারীরা প্রতিনিয়ত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গ করছে। সরকারের সংশ্লিষ্টদের এজন্য আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। পাশাপাশি আইন ভঙ্গকারীদের অভিযান চালিয়ে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
কর্মশালায় মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক সাগুফতা সুলতানা। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়ক ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব মো. জসিম উদ্দিন, মেয়র এলাইন্স ফর হেলদি সিটির চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, কো-চেয়ারম্যান ও সাভার পৌরসভার মেয়র হাজী মো. আব্দুল গণি এবং সাধারণ সম্পাদক ও ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবির।
বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন গ্রাম-বাংলা উন্নয়ন কমিটির পরিচালক খন্দকার রিয়াজ আহমেদ, নাটাবের প্রকল্প সমন্বয়কারী খলিল উল্লাহ, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রামস সৈয়দা অনন্যা রহমান, দ্য ইউনিয়নের প্রতিনিধি ফাহমিদা ইসলাম। এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিবার্তা/রিয়াদ/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]