
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ও দ্রুত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ- এই দুই দফা দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) সামনে মানববন্ধন করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
২০ নভেম্বর, রবিবার রাজধানীর মিরপুরস্থ ডিপিইর সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। দুই দফা দাবি না মানলে মানববন্ধন থেকে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন চাকরিপ্রত্যাশী আন্দোলনকারীরা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রত্যাশী মোবারক হোসেন অন্তর বলেন, ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি হলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের। কারণ করোনার দুই বছরে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারের বেশি পদ শূন্য হয়েছিল। এটি মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী সচিবের মুখের কথা, যা গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার (১৯ নভেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে জানানো হলো, পদসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে না। এটি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বেকারদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। সে কারণে আমরা মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি।
হাফিজুর রহমান নামে আরেক চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, এর আগের নিয়োগগুলোতে প্রতি তিনজনে একজন আনুপাতিক হারে নিয়োগ দেয়া হতো। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলাই আছে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে, তা হলে কেন এই ১০ থেকে ১৫ হাজার অবসরজনিত শূন্য পদে নিয়োগ নিশ্চিত করা হবে না? তাই আমরা কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।
জাহিদুর রহমান নামের আরেক চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, গত এপ্রিল থেকে এ নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ভাইভা কার্যক্রম শেষ হয়েছে গত ১২ অক্টোবর। অথচ এতদিনেও চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে পারছে না তারা। আর বর্তমানে টাকার বিনিময়ে বেশিরভাগ পদ বাগিয়ে নেওয়ার রীতি চালু হয়েছে। প্রাথমিকে অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এবারও কি সে কারণেই ফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে কি-না তা নিয়ে আমরা সন্দিহান।
বিবার্তা/রাসেল/এসএফ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]