লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন আগামী ৫ বছরের উন্নয়ন কর্ম পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তিনি তার কর্ম পরিকল্পনায় দাবি করেছেন এলাকার উন্নয়নে ইতোমধ্যে ৭৫-৮০ ভাগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। আগামীতে আবার নির্বাচিত হলে বাকি ২০-২৫ ভাগ উন্নয়ন মূলক কাজ সম্পন্ন করবেন। সে কারণে তিনি আর একবার জনসমর্থন চেয়েছেন। সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন তার কর্ম পরিকল্পনায় ২২টি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

শনিবার দুপুরে হাতিবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে হাজার হাজার লোকের সামনে তিনি এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেন।

তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- তিস্তা নদীর বাম তীরে বাঁধ নির্মাণ, ধরলা নদীর ভাঙ্গন রোধ, লালমনিরহাট-বুড়িমারী রাস্তা চার লেনে উন্নীতকরণ, বুড়িমারী-ঢাকা তিনবিঘা এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করণ, শত ভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করণ, লালমনিরহাট বিমান বন্দর চালু, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় শিশু পার্কসহ নওদাবাস শালবনকে ইকো-পার্কে উন্নীত করণ, হাতীবান্ধায় ভুট্টা গবেষণা ও টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন, সানিয়াজান ও ধরলা নদীতে রাবার ড্যাম চালু কারণ, হাতীবান্ধায় স্টেডিয়াম ও বড়খাতায় বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন নির্মাণ, ধরলা নদীর বাশকাটা-মোহাম্মদপুরে ও কুচলিবাড়ী গোলডাঙ্গায় সানিয়াজান নদীতে সেতু নির্মাণ, লালমনিরহাট সদরে পলি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ও নার্সেস ট্রেনিং কলেজ চালু, লালমনিরহাটে শিল্প কারখানা স্থাপনসহ হাতীবান্ধা পৌরসভা বাস্তবায়ন।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা একটি মঙ্গা ও বন্যা কবলিত। এ এলাকার মানুষ অধিকাংশই শ্রমিক ও কৃষির উপর নির্ভরশীল। নেতৃত্বের কারণে এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল। আমি পর পর দু’বার উপজেলা চেয়ারম্যান ও টানা তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করছি।

শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে আমার নির্বাচনী এলাকাসহ গোটা জেলার উন্নয়নের ৭৫-৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছি। আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণ আমাকে পুনরায় সুযোগ দিলে বাকি অসমাপ্ত উন্নয়ন মূলক কাজগুলো শেষ করে এ জেলাকে মডেল জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবো।

বিবার্তা/জিন্না/জহির