শিরোনাম
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলনে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ২২:৫১
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলনে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্টদূত আল রবার্ট মিলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে সেখানে যান তিনি।


রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে রাষ্টদূত বলেন, ''আমি বাংলাদেশে নতুন এসেছি, তাই আপনাদের দেখার জন্য এখানে এসেছি। এসেছি আপানাদের সুখ-দুঃখের কথা জানার জন্য।''


আল রবার্ট মিলার বলেন, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের নিরাপদে স্বদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বহির্বিশ্ব ও জাতিসংঘের মাধ্যমে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করেছে। যে কারণে মিয়ানমার আপনাদের ফেরত নেওয়ার কথা বলছে।


'যদি বাড়ি-ঘরসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় তাহলে রাখাইনে ফিরে যাবেন কিনা?', মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এমন প্রশ্নের জবাবে এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ''আমাদের এখানে আর এক মূহুর্তও থাকতে ইচ্ছে করছে না। আমরা যে কোনো সময় স্বদেশে ফিরে যেতে রাজি। তবে মিয়ানমারে অবস্থানরত অন্যান্য জাতিগোষ্ঠির মত আমাদেরও সম্পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সেটি জাতিসংঘের সার্বিক নিরাপত্তার অধীনে।''


পরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বালুখালী টিভি টাওয়ার সংলগ্ন ঘুমধুম ইউএনএইচসিআর কর্তৃক নির্মিত ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। ক্যাম্পে সদ্য মিয়ানমার থেকে আসা ৯ সদস্যের দুই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।


এ সময় মিয়ানমারের বুচিদং নাইক্ষ্যংপাড়া থেকে আসা আমান উল্লাহ (৫৫) জানান, সেখানে মিয়ানমার সেনারা পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে এনভিসি কার্ড নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না। এ কারণে তারা বাধ্য হয়ে এপারে চলে এসেছেন।


তাদের সঙ্গে কথা বলার পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত বালুখালী ময়নারঘোনা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের বেশ কয়েকটি থাকার ঘর ঘুরে দেখেন। পরে ময়নারঘোনা ক্যাম্প ও ব্লকের ৫০ মাঝির সঙ্গে কথা বলেন। মার্কিন রাষ্টদূত জানতে চান, ''তারা কেমন আছেন?''


জবাবে মাঝিরা জানান, তারা এখানে খুব ভাল আছেন। নিয়মিত ত্রাণসামগ্রী পাচ্ছেন। পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় দিন ভালো কাটালেও তারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চান।


রাষ্ট্রদূতকে আবু তাহের মাঝি জানান, কয়েকটি এনজিও সংস্থার কারণে ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হয়নি। এজন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সরাসরি জাতিসংঘের তত্ববধানে নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করে তাদের সহায়-সম্পদ ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করলে রোহিঙ্গাদের এখানে কেউ আটকে রাখতে পারবে না। কারণ স্বদেশের মায়া সবার আছে।


এ সময় রাষ্ট্রদূত তাদেরকে সম্মানের সঙ্গে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন।


এর আগে সকাল ১১টার দিকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের দরগাহবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যুক্তরাষ্টের অর্থায়নে নির্মিত সাইক্লোন সেন্টার কাম স্কুলভবন পরিদর্শন করেন। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ত্যাগ করেন।


বিবার্তা/মানিক/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com